দেশের স্বাস্থ্য খাতে বিরাট অগ্রগতি! সফল হল পোর্টেবল হাসপাতালের পরীক্ষা, নজির গড়ল ভারতীয় বায়ু সেনা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ভারতীয় বায়ু সেনা (Indian Air Force) এমন একটি নজির তৈরি করেছে যেখান থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে দেশের (India) স্বাস্থ্য খাতে একটি বিরাট পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত, আগ্রায় ভারতীয় বায়ু সেনা একটি পোর্টেবল হাসপাতালের পরীক্ষা করেছে। যেটি সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই পোর্টেবল হাসপাতালটি প্রায় ১,৫০০ ফুট উচ্চতা থেকে মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করানা হয়েছে।

এদিকে, এই সফল পরীক্ষার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও সামনে এসেছে। যেটি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় তাঁর “এক্স” হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, পোর্টেবল হাসপাতালটিকে একটি প্লেন দ্বারা অনেকটা উচ্চতা থেকে নামানো হয়। যেটি প্যারাসুটের সাহায্যে নিরাপদে মাটিতে অবতরণ করে।

   

ভিডিওটি শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী: এই ভিডিওটি শেয়ার করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় ক্যাপশনে লিখেছেন, “ভারতীয় বিমান বাহিনী আগ্রায় এয়ারড্রপের জন্য অত্যাধুনিক দেশীয় মোবাইল হাসপাতাল BHISHM Cube-এর পরীক্ষা করেছে। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি যেকোনও জায়গায় জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং ব্যাপক চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি ঘটাবে।”

আরও পড়ুন: গুলিতে এফোঁড়-ওফোঁড়! চলে গেলেন সচিনের “কাছের মানুষ”, তদন্তে নামল পুলিশ

এই হাসপাতাল থেকে কিভাবে মিলবে লাভ: এমতাবস্থায়, অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে এই হাসপাতালের মাধ্যমে কিভাবে পরিষেবা মিলবে? মূলত, কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে এই হাসপাতাল এয়ারড্রপের মাধ্যমে অবিলম্বে প্রস্তুত করা যেতে পারে। এই হাসপাতালে একটি AI সিস্টেম ইনস্টল করা আছে যা চিকিৎসায় সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন: ১০ বছরে এই প্রথম! টাটা গ্রুপের সবচেয়ে লাভজনক সংস্থার তালিকায় পিছিয়ে পড়ল TCS, প্রথম স্থানে কে?

এদিকে, এই পোর্টেবল হাসপাতালের মাধ্যমে একসাথে প্রায় ২০০ জনের চিকিৎসা করা যায়। শুধু তাই নয়, এটি ইন্টারনেট ছাড়াও কাজ করতে পারে। এছাড়াও এই হাসপাতালের মধ্যে এমন অনেক ফিচার্স হয়েছে যেগুলি প্রত্যক্ষভাবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে সাহায্য করে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর