বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশ (India-Bangladesh) সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তবর্তী এলাকায় চারটি নতুন সেনা ঘাঁটি স্থাপনের পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)-এর টহল ও নজরদারি ব্যাপকভাবে জোরদার করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে ওসমান হাদির হত্যার সঙ্গে জড়িত এক অভিযুক্ত ব্যক্তির ভারতের দিকে পালিয়ে আসার অভিযোগ নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে, যা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী ইউনুস সরকারকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চাপের মুখে ফেলেছে।
বাংলাদেশ (India-Bangladesh) সীমান্তে জোরদার নজরদারি ভারতীয় সেনার:
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনও বাংলাদেশি অপরাধী বা সন্দেহভাজন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে বিজিবিকে। চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি, পাশাপাশি সীমান্তে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেন।
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে পড়েছিল যথেষ্ট প্রভাব! বছরের শেষে বোধোদয় পাকিস্তানের
সম্প্রতি কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-কে বেড়া দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজিবির বিরুদ্ধে, যার জেরে দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। অন্যদিকে, সীমান্ত হত্যা এবং চোরাচালান ও পাচার রোধে বিজিবির ভূমিকা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অভিযোগ বিদ্যমান।
ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে পাচারকারীদের সাহায্য করে থাকে বিজিবির একটি অংশ। আবার বিএসএফ-এর গুলিবর্ষণেও বাংলাদেশের আপত্তি রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কিছু প্রাক্তন সেনা কর্তা ও রাজনৈতিক নেতার ভারত-বিরোধী মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনা ও বিএসএফ নীরবে কিন্তু দৃঢ়ভাবে সীমান্তে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে।

সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে সম্প্রতি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেলের সাথে উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি মুকেশ ত্যাগীর বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তিওয়ারি বিএসএফ ও অসম রাইফেলসের শীর্ষ কর্তাদের সাথে আলোচনা করেছেন। ভারত-বাংলাদেশের ৪০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের প্রায় ৭৯ শতাংশ এলাকায় ইতিমধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মিত হয়েছে, এবং বাকি অংশও আরও সুরক্ষিত করার দিকে এগোচ্ছে ভারত।












