বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যত দিন এগোচ্ছে ততই ট্রেনগুলিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যাত্রীদের সংখ্যা। এমতাবস্থায়, দেশজুড়ে যাত্রীদের সুবিধার্থে একাধিক বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। ইতিমধ্যেই প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নয়াদিল্লি, আহমেদাবাদ এবং ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস-মুম্বাই রেলস্টেশনের মত দেশের তিনটি বড় রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণ এবং পুননির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, রেল মন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, মোট ১৯৯ টি স্টেশনের পুননির্মানের কাজ চলছে। যার মধ্যে ৪৭ টি স্টেশনের জন্য টেন্ডারও জারি করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, রবিবার সকালেই এবার রেল মন্ত্রক সূত্রে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়া মারফত সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। যেখানে গুজরাটের একটি স্টেশনের ভোলবদলের দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে। এমনকি, ছবিটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতেও শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, গুজরাটের ছায়াপুরী রেলস্টেশনটিকে এবার ঢেলে সাজানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই ছবিটির মাধ্যমে ছায়াপুরী রেলস্টেশনের পূর্বের এবং বর্তমান ছবিও তুলে ধরা হয়েছে। আর তা দেখেই স্তম্ভিত হয়েছেন সকলেই। মূলত, প্রথমের ছবিটিতে প্ল্যাটফর্ম এবং ছাউনি সহ একটি ছোট ঘর দেখা গেলেও ঠিক তারপরের ছবিটিতে গগনচুম্বী স্টেশনের বিল্ডিং নজরে এসেছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পশ্চিম রেলওয়ে এখন ভাদোদরা জংশনের কাছে অবস্থিত এই ছায়াপুরী স্টেশনকে একটি স্যাটেলাইট স্টেশনে পরিণত করেছে। এদিকে, রেলমন্ত্রক সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল যে, “ভাদোদরা বিভাগের ছায়াপুরী রেলস্টেশনটিকে পশ্চিম রেলওয়ের রেল ট্রাফিক সহজতর করার জন্য এবং শহরের বুলেট ট্রেন স্টেশন নির্মাণের আবহে ভাদোদরা রেলস্টেশনে যাত্রীদের সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য স্টেশনটিকে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।”
ছায়াপুরী রেলস্টেশনের নতুন বৈশিষ্ট্য: ইতিমধ্যেই কয়েকবছর আগে থেকে এই স্টেশনের পুননির্মান সংক্রান্ত কাজ শুরু করা হয়। পাশাপাশি, ছায়াপুরী রেলস্টেশনে কিছু নতুন বৈশিষ্ট্যও উপলব্ধ করা হয়েছে। যেগুলির মধ্যে রয়েছে-
১. এই স্টেশনটিতে দুটি পূর্ণ-দৈর্ঘ্যের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যা ২৬ কোচের ট্রেনকেও জায়গা করে দিতে পারে।
২. ছায়াপুরী স্টেশনে দু’টি লিফট ও একটি ফুট ওভারব্রিজ রয়েছে।
৩. ছায়াপুরী স্টেশনের কারণে প্রতি ট্রেন প্রায় ২৭ মিনিট পর্যন্ত সময় বাঁচাতে পারবে।
৪. প্রায় ২৯ জোড়া ট্রেনকে এই স্টেশন থেকে ডাইভার্ট করা যেতে পারে।