বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় রেল আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত। স্কুল জীবন পেরিয়ে কলেজ, তারপর কর্মক্ষেত্র, গন্তব্যে পৌঁছানোর সেরা ঠিকানা রেল ব্যবস্থা। যত দিন যাচ্ছে ততই ভারতীয় রেল বিশ্বমানের হয়ে উঠছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে রেল। অত্যাধুনিক রেল ইঞ্জিন থেকে শুরু করে বিলাসবহুল কামরা, ভারতীয় রেল এখন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উপহার দিচ্ছে যাত্রীদের।
অনেকেই হয়ত জানেন যে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে থাকে না শৌচাগার। অনেক সময় হয়ত দেখে থাকবেন ট্রেন চালক ট্রেন থামিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান। লোকো পাইলটদের অনেক সময় প্ল্যাটফর্মের ধারে কিংবা অন্যান্য জায়গায় সেই কাজ করতে হয়। তবে এবার খুব শীঘ্রই মিটতে চলেছে এই সমস্যা। কানপুরে নেওয়া হয়েছে এই অভিনব উদ্যোগ।
আরোও পড়ুন : সরাসরি সূর্যকিরণ পড়বে মূর্তির ললাটে! এবার ‘বিশেষ’ তিলক হবে রামলালার, রামনবমীতেই অসাধ্য সাধন
জানা যাচ্ছে ভারতের প্রথম জলবিহীন ইউরিনাল চালিত যাত্রীবাহী ট্রেন ইঞ্জিন ডিজাইন করেছে কানপুর ইলেকট্রিক লোকো শেড। ইলেকট্রিক লোকশেডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার রাহুল ত্রিপাঠি এই ব্যাপারে বলেছেন, দেশের বিভিন্ন লোকোশেডে মডিফাইড লোকোমোটিভের প্রদর্শনী হতে চলেছে আগামী ২১শে মার্চ। কানপুরের লোকোশেডে প্রবর্তিত যাত্রীবাহী রেল ইঞ্জিনও থাকতে চলেছে এই প্রদর্শনীতে।
আরোও পড়ুন : স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন মুকেশ ঘরনী! জানেন, কত টাকা বেতন পেতেন নীতা আম্বানি?
রাহুল বাবু জানিয়েছেন, ইঞ্জিনে টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বিভিন্ন লোকো শেডে । দেশের অন্যান্য লোকো শেড এই ডিজাইন তৈরি করেছে, তবে যাত্রীবাহী রেল ইঞ্জিনকে আরো আপডেট করেছে কানপুর বৈদ্যুতিক লোকো শেড। একটি Waterless Urinal রেল ইঞ্জিন তৈরি করে আমরা চারদিকে সাড়া ফেলে দিয়েছি। মহিলা লোকো পাইলটরা এই ধরনের ইঞ্জিনের ফলে আরো বেশি উপকৃত হবেন।
রেলের কিছু আধিকারিক বলছেন, বেশ কয়েক বছর হল রেলে মহিলা লোকো পাইলট নিয়োগ শুরু হয়েছে। এনাদের ডিউটির সময় সমস্যা হয় টয়লেটে যেতে। এখনো পর্যন্ত ইউরিনাল সুবিধা নেই পণ্য ও যাত্রীবাহী রেলের ইঞ্জিনে। এই অবস্থায় ট্রেন যখন আউটারে দাঁড়িয়ে থাকে, তখন পুরুষ লোকো পাইলটরা ট্রেন থেকে নেমে টয়লেটে যেতে পারেন। তবে মহিলা লোকো পাইলটদের পরবর্তী স্টেশন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তবে সেই সমস্যার এবার হয়ত সমাধান হতে চলেছে।