সারে জাহাঁ সে আচ্ছা! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউক্রেনে পাকিস্তানি তরুণীর প্রাণ বাঁচালেন ভারতীয় ছাত্র

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউক্রেনে ভয়ংকর যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই সামনে আসছে ভারতীয়দের একের পর এক সাহসিকতা এবং আন্তরিকতার গল্প। সেখানে আটকে পড়া অবস্থাতেই নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টার মধ্যেই তারা বাঁচাচ্ছে অন্যদের প্রাণও। এমনই এক ছাত্র অঙ্কিত যাদব। তিনি শুধু নিজেরই নন বাঁচিয়েছেন কিয়েভে অধ্যয়নরত এক পাকিস্থানি ছাত্রীর প্রাণও। সেই ছাত্রীকে রোমানিয়া সীমান্তে পৌঁছে দেন অঙ্কিত।

সম্প্রতি ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরেছেন অঙ্কিত যাদব। জানা গিয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে আসার সময় একটি পাকিস্তানি পড়ুয়াকে সেদেশের দূতাবাসে পৌঁছে দেন তিনি। অঙ্কিত জানান, ‘২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় একটি বাঙ্কারে তার সঙ্গে দেখা হয় আমার। ইউক্রেনের নাগরিকে ঠাসা সেই বাঙ্কারে আমি ছিলাম একমাত্র ভারতীয় এবং সে ছিল একমাত্র পাকিস্তানি। যেহেতু আমরা ইউক্রেনীয় ভাষা জানতাম না, তাই অন্য কারও সঙ্গেই কথা বলতে পারিনি। অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে দেখে আমরা শহর ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করতে থাকি।’

কিয়েভের একটি প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত অঙ্কিত দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে আরও জানান, ‘আমরা ২৬ তারিখ পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করি। কিন্তু কার্ফুর কারণে বেরোতে পারিনি সেদিন। অবিরাম গোলাগুলির কারণে বাঙ্কার থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি আমাদের। খাবার জোগাড় করাও ওখানে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছিল। কার্ফুয়ের মধ্যেই হোস্টেল গিয়ে দুজনের জন্য খাবার রান্না করে ফিরি আমি। ২৮ তারিখ কার্ফু তুলে নেওয়া হলে আমরা বাইরে বেরিয়ে আসি।’

এরমধ্যেই পাকিস্তানি দূতাবাসকে যোগাযোগ করেন তাঁরা। সেখান থেকে অঙ্কিতকে অনুরোধ জানানো হয় মেয়েটিকে নিরাপদে সেখানে পৌঁছে দিতে। নিজের প্রাণকে ঝুঁকিতে ফেলেই মেয়েটিকে সুরক্ষিত করেন ভারতীয় এই ছাত্র। অঙ্কিতের এহেন কাজে কার্যতই গর্বে ভরে উঠছে দেশবাসীর বুক। ভারতীয়রা যে ‘সবার চেয়ে আলাদা’ একথা আবারও একবার প্রমাণ করার জন্য অঙ্কিতের উদ্দেশ্যে রীতিমতো প্রশংসা এবং হাততালির ঝড়ই উঠেছে দেশজুড়ে।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর