৬ বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছল ভারতের বৈদেশিক সোনার ভান্ডার, দেশে বাড়ল গোল্ড রিজার্ভ

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতের (India) সোনার ভান্ডারের প্রসঙ্গে একটি সুখবর পাওয়া গেছে। মূলত, ভারতের বৈদেশিক সোনার ভান্ডার ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলতি বছরের মার্চের শেষে ভারতের সোনার ভান্ডার ৪৭ শতাংশ কমেছে। ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো এই বিপুল পতন রেকর্ড করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত মাসের শুরুতে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India) ব্রিটেন থেকে ভারতে ১০০ টন সোনা ফিরিয়ে এনেছিল।

২০২২ থেকে সোনা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে: জানিয়ে রাখি যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০২২ সালের মার্চ মাসে বিদেশ থেকে ভারতে সোনা ফিরিয়ে আনতে শুরু করে। মার্কিন সরকার রাশিয়ান বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ ফ্রিজ করার নির্দেশ দেওয়ার পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তারপরে ২০২৪ সালের মার্চের শেষ পর্যন্ত, ভারতের সোনার ভান্ডার ৮২২.১ টনে পৌঁছেছে।

India's foreign gold reserves hit 6-year low.

এমনটাই জানিয়েছেন RBI গভর্নর: এই প্রসঙ্গে RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন যে, এই পদক্ষেপের জন্য ক্রেডিট পর্যাপ্ত দেশীয় স্টোরেজ ক্ষমতাকে দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন যে,, এর ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত নয়। উল্লেখ্য যে, মার্চের শেষে RBI-এর মোট সোনার হোল্ডিং ছিল ৮২২.১ টন।

আরও পড়ুন: গিল হলেন ক্যাপ্টেন! জিম্বাবোয়ে সফরের জন্য ভারতীয় দলে বিরাট চমক, “এন্ট্রি” পাঁচ নতুন মুখের

এদিকে, ET-র একটি রিপোর্ট অনুসারে, ৫৭ টি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে Invesco দ্বারা একটি সার্ভে করা হয়। যেটি থেকে জানা গিয়েছিল যে, ব্রিটেন তার গোল্ড এক্সপোজার ৮ থেকে ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। এদিকে, এই সার্ভেটি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি যাতে তাদের স্বর্ণের ভান্ডার তাদের দেশে ফেরত নিয়ে যায় সেই প্রবণতাকে উল্লেখ করেছে। আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ওইসব দেশের সোনার মজুত ছিল ৫০ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তা বেড়ে ৬৮ শতাংশ হবে। যেখানে আগামী পাঁচ বছরে তা ৭৪ শতাংশে উন্নীত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: প্রথমে সম্মতি জানিয়েও SCO সম্মেলনে আচমকাই মত পরিবর্তন মোদীর, চিনের সাথে ফের বাড়বে দূরত্ব?

এদিকে, আরও জানা গিয়েছে যে, দেশীয়ভাবে সোনার অংশ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে থাকা ৩৯ শতাংশের তুলনায় ২০২৪ সালের মার্চে বৃদ্ধি পেয়ে ৫৩ শতাংশ হয়েছে। এই সামগ্রিক বিষয়টি ১৯৯১ সাল থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে। কারণ, ওই সময়ে ভারত বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটে ভুগছিল। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতকে বিদেশের কাছে সোনার প্রতিশ্রুতি দিতে হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর