বাংলা হান্ট ডেস্ক : করোনা অতিমারি (Covid 19) এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) কু-প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। চরম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অর্থনীতি। এরই মধ্যে ব্যতিক্রমী ভারত (India)। এই কথা অনেক আগেই জানায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank), আইএমএফ (International Monetary Fund), ব্লুমবার্গ ইকনমিক্স (Bloomberg Economics)-সহ বিভিন্ন আর্থিক ও পরামর্শদাতা সংস্থা। এই অবস্থায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ ছুঁতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল অনেকেরই। বুধবার প্রকাশিত সরকারি রিপোর্ট জানাল, জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ।
জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের পূর্বাভাস ছিল ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সেই প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জিডিপি বৃদ্ধির হারে যথেষ্ট খুশি। তিনি বলেন, ‘জিডিপি বৃদ্ধির এই হার ভারতীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রমাণ দিয়েছে।’
বুধবার এনএসও প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে (চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ) জিডিপি বৃদ্ধির হার হয়ে থাকতে পারে ৬.১ শতাংশ। যা তার আগের ত্রৈমাসিকের হারের (৪.৪ শতাংশ) অনেকটাই বেশি। কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন রিপোর্ট পেশ করে জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) এখনও পর্যন্ত বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫ শতাংশের সামান্য বেশি। অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে খরিফ শস্যের ফলনে কিছুটা প্রভাব পড়ছে বলেও জানান তিনি।
গত নভেম্বরে আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছিল, ভারতে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ। পরের অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৩-২৪-এ ৬.১ শতাংশ হতে পারে । সে সময় নাগেশ্বরন দাবি করেছিলেন, পূর্বাভাসের তুলনায় বাস্তব ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার বেশি হবে। সেই দাবি মিলে গিয়েছে। যদিও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ক্রয়ক্ষমতা বাড়ারও কোনও বার্তা নেই এনএসও রিপোর্টে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই অনুমান করেছে, ২০২৩-এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকে প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধি ৫.১ শতাংশ হবে৷ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আরবিআই প্রথম ত্রৈমাসিকে ৭.৬ শতাংশ হারে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ অনুমান করছে।
সরকারি ব্যয়ের কারণে ভারতীয় অর্থনীতি জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে বছরের ভিত্তিতে ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়েছিল। আগের ত্রৈমাসিকে ৪.৪ শতাংশ হারে তা ত্বরান্বিত হয়েছিল। আগের অর্থবছরের শেষ দুই ত্রৈমাসিকে শক্তিশালী গতির কারণে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।