বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) এর আগে অনেকবারই শিরোনামে উঠে এসেছেন সুশাসনের জন্য। অনেকেই তাঁকে কমবেশি স্বচ্ছতার প্রতীকও মনে করেন। যদিও বিরোধী দলনেতা হিসেবে তেজস্বী যাদব (Tejaswi Jadhav) সহ অনেকেই বারবার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগও এনেছেন। কিন্তু এবার কোন বিরোধী দল নয় দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন সরকারি এক আমলাই। সূত্রের খবর, শুধু নীতিশ কুমার নয় সরকারের ছোট-বড় একাধিক নেতার বিরুদ্ধেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই আইপিএস অফিসার।
সুধীর কুমার (Sudhir Kumar) নামের ওই আইপিএস অফিসার ১৯৮৭ সালের আইপিএস ব্যাচের ক্যাডার। তার নিজের ট্র্যাক রেকর্ডও অবশ্য খুব একটা স্বচ্ছ নয়। এর আগে চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল সুধীর কুমারের। যার জন্য তিন বছর জেল খাটতে হয় তাকে। তবে এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের জামিনে মুক্ত তিনি। শনিবার দুপুরে গরদানিবাগ থানায় পৌঁছান তিনি। যদিও স্বীকৃতি পত্র পাওয়ার জন্য প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় তাকে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ আধিকারিকদের উপর নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সুধীর।
প্রথমে অবশ্য কারও নাম জানাতে চাননি এই আইপিএস অফিসার। তবে সংবাদমাধ্যমের জোরাজুরিতে শেষ পর্যন্ত তিনি কার্যত স্বীকার করে নেন, তার অভিযোগে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নামও। তিনি বলেন, প্রতিটি জালিয়াতির নথি রয়েছে তার কাছে। যদিও তালিকায় ঠিক কত জনের নাম আছে তা উল্লেখ করতে রাজি হননি তিনি। ইতিমধ্যেই তার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট শোরগোল শুরু হয়েছে বিহারের রাজনীতিতে। আইপিএস অফিসার সুরক্ষার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব।
কারোর নাম না করলে অনেকেই মনে করছেন, আইপিএস অফিসার সুধীর কুমারের অভিযোগ যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলবে রাজ্যের শাসক দলকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চাকরির আর মাত্র এক বছর বাকি রয়েছে সুধীরের। তার আগেই এ ধরনের অভিযোগ, নিশ্চয়ই তাৎপর্যপূর্ণ। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।