বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজ একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনের ভোটগণনা হয়ে উঠেছিল রোমাঞ্চকর। ফলাফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আসা করেছিল গোটা রাজ্য। কিন্তু ভোটগণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডেই থমকে গেল মানুষের চিন্তাভাবনা। একেরপর এক আসনে লিড দিতে শুরু করেছিল শাসকদল তৃণমূল।
বিজেপির ‘চাণক্য’ অমিত শাহ এরাজ্যে এসে দাবি করেছিলেন ২০০-র বেশি আসন নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। একাধিক জনসভা বা সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি লক্ষ্য করা গেছে তাঁর মুখে। তবে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর জয়ের ‘অঙ্ক’ টা অনেক আগেই কষে ফেলেছিলেন। গতবছরের শেষের দিকেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন বাংলায় বিজেপি ১০০-র গণ্ডি পেরোতে পারবে না। বাস্তবে হল সেটাই।
২০০-র বেশি আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন মমতা সরকার। আর বিজেপি থমকে গেল দুই অঙ্কেই। অন্যদিকে, ধুঁয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল সংযুক্ত মোর্চা। তবে জয়ের বাতি জ্বালিয়ে রাখল একুশের নির্বাচনের অন্যতম চর্চিত নাম ISF-র প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকী। গোটা সংযুক্ত মোর্চার তরফে মাত্র একটি আসনেই জয়লাভ করল ভাইজান (Abbas Siddique)। একুশের লড়াইয়ে যিনি নিজেকে সেক্যুলার বলে প্রচার করে ভাগ্য নির্ধারণ করতে নেমেছিলেন রাজনীতির ময়দানে।
সেই ফুরফুরার আব্বাস সিদ্দিকীর ভাই নওশাদ সিদ্দিকী জিতলেন ভাঙড় থেকে। ভোটগণনার শুরুতে কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন নওশাদ। তবে বেলা গড়াতেই তৃণমূল প্রার্থী রেজাউল করিমকে ২৬, ৭৩৬ ভোটে হারিয়ে ISF-কে ফ্লপ হওয়ার হাত থেকে বাঁচালেন তিনি।