‘এতো হিমশৈলের চূড়ামাত্র!’, গ্রুপ-ডি দুর্নীতিকে ‘ভয়ংকর’ আখ্যা দিয়ে চরম হুঁশিয়ারি বিচারপতির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক দুর্নীতির রহস্য প্রকাশ্যে আসছে। গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় আরও বেশ খানিকটা বিপাকে এসএসসি (SSC)। এবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর রায়ে নাস্তানাবুদ স্কুল সার্ভিস কমিশন। পুরো প্যানেলই বাতিল করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি বসু। আগামী ১৮ নভেম্বর এই মামলায় সিবিআইয়ের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট।

বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার এসএসসি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই (CBI)। ওই রিপোর্ট দেখার পরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে সওয়াল জবাব চলাকালীন বিচারপতি বলেন, ‘ভয়ংকর পরিসংখ্যান। এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গোটা হিমশৈলই রয়েছে জলের নিচে। এরা নাকি শিক্ষক। এরা নাকি সমাজ গড়ার কারিগর। এরা নাকি অন্য কোন পেশায় নেই। অদূর ভবিষ্যতে ছাত্ররা এই শিক্ষকদের দিকেই আঙুল তুলবে। জিজ্ঞাসা করবে এরা কেমন শিক্ষক? আমি ঠিক জানিনা এর শেষ কোথায়!’

স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তোপ দেগে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আরও বলেন, ‘আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিত। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে নিযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা উচিত। দুর্নীতিবাজদের এর ফল ভুগতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। আমিও তাতে শামিল হলাম।’ আগামী ১৮ নভেম্বর সিবিআইয়ের রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্ট। ওইদিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতি নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন। চাকরিপ্রার্থীদের কথা ভেবে বারবার যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। এবার তাঁর মতোই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই মামলায় বিচারপতির হুঁশিয়ারি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তর্জা। যদিও পুরো প্যানেল বাতিল হলে যাঁরা বৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।