বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) এক ছাত্রী একজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন এবং মানসিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগের সেই ছাত্রীর অভিযোগের জেরে উক্ত বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের প্রথম সেমিস্টারের একটি পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে যায়। তবে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি (আইসিসি) জানাল, তারা ওই ছাত্রীর অভিযোগের কোনও রকম সত্যতা খুঁজে পায়নি।
শুক্রবার JU-র কর্মসমিতির বৈঠকে রিপোর্ট পেশ করে আইসিসি। সেখানেই জানানো হয়, ওই ছাত্রী যে অভিযোগ (Harassment Complaint) এনেছিলেন তার কোনও প্রকার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ এবং কমিটির কাছে দেওয়া বয়ানের মধ্যে গুরুতর অসঙ্গতি আছে।
কমিটির সুপারিশ, ওই ছাত্রীটি আর ক্লাস করতে পারবেন না। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পরীক্ষা দিতে পারবেন। সেই সঙ্গেই এমন অভিযোগ আনার জন্য তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। জানা যাচ্ছে, কমিটির এই সুপারিশ কর্মসমিতি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুনঃ সাবধান! এই জেলা গুলিতে সর্বোচ্চ আঘাত হানবে রেমাল! তড়িঘড়ি চালু হল ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ছাত্রী যৌন এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটার তরফ থেকে দাবি করা হয়, ওই ছাত্রী পরীক্ষায় টুকলি করছিলেন। হাতের তালুতে লিখে এনেছিলেন তিনি। ধরা পড়ে যেতেই বিভাগীয় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তিনি এমন গুরুতর অভিযোগ আনেন। জুটার তরফ থেকে বলা হয়, এমনটাই চলতে থাকলে পরীক্ষার নজরদারি থেকে তাঁরা সরে আসবেন। বিভাগীর অধ্যাপকদের পাশাপাশি নজরদারির দায়িত্বে থাকা রিসার্চ স্কলাররাও পরীক্ষার নজরদারিতে অস্বীকার করেন।
এদিকে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি UGC সহ আরও নানান জায়গায় লিখিত অভিযোগ জানান। তবে শুক্রবার JU-র অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির তরফ থেকে দেওয়া রিপোর্টে ওই ছাত্রীর বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানানো হয়। এদিকে যে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল তিনি বলেন, ‘এই ছাত্রীকে এমন অভিযোগ করতে যারা উৎসাহ জুগিয়েছিলেন, তাঁদের বোধহয় শাস্তি প্রাপ্য’।