২৬ জানুয়ারি তুলতে দেওয়া হয়নি জাতীয় পতাকা, এবার সেই জিন্নহা টাওয়ারই রাঙ্গল তেরঙ্গার রঙে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবশেষে তেরঙায় রাঙানো হল জিন্না টাওয়ার। অন্ধ্রপ্রদেশের মাঝখানে অবস্থিত এই মিনারটিকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই দেশে। ১৯৪৫ সালে শান্তি এবং সম্প্রতির প্রতীক হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল ৬টি পিলারের উপর গম্বুজ আকৃতির এই টাওয়ারটি। কিন্তু একেই মহম্মদ আলি জিন্নাহের নামে নামকরণ তার উপর এটির সবুজ রঙ, দুইয়ে মিলে এটি তীব্র বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছে এটি বহু দিন ধরেই। বারবার উঠেছে এই টাওয়ারের নাম বদলের দাবিও।

গত ৩০ ডিসেম্বর এই টাওয়ারটির নাম বদলের দাবি তোলেন বিজেপির অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য সভাপতি সমু বিরাজ। এটির নাম বদলে আবুল কালাম আজাদ বা চারণ কবিদের নামে করা হোক, এমনটাই দাবি করেন তিনি। এরপর ২৬ জানুয়ারি জিন্না টাওয়ারে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের চেষ্টাও করেন হিন্দুত্ববাদীরা। এর জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শেষমেষ পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি। ফলে রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হন হিন্দু বাহিনীর সদস্যরা। এরপরও বারবার দাবি ওঠে সবুজের পরিবর্তে গেরুয়া সাদা সবুজ এই তিন রঙে এই টাওয়ারকে সাজানোর জন্য।

তবে এবার শেষ অবধি জয় হল হিন্দুত্ববাদীদেরই। অবশেষে জিন্না টাওয়ারে লাগল গেরুয়া সাদা সবুজ রঙ। একই সঙ্গে টাওয়ারের সামনে বসছে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ঝান্ডাও।

Jinnah Tower centre

গুন্টুর পূর্বের বিধায়ক মহম্মদ মুস্তাফা জানান, ‘ বিভিন্ন গোষ্ঠীর দাবিতে তেরঙাই করা হল জিন্না টাওয়ারের রঙ। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য একটি ধ্বজাও বসানো হচ্ছে এটির সামনে’। তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার যুদ্ধে বহু মুসলিমই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। স্বাধীনতা লাভের পর কেউ কেউ পাকিস্তানে চলে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা ভারতীয় হিসেবে ভারতবর্ষে থেকেছি। আমরা আমাদের মাতৃভূমি ভারতবর্ষকেই ভালোবাসি।’

এহেন জয়ে কার্যতই খুশির হাওয়া রাজ্যের বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী মহলে। এটিকে মুসলমান এবং পাকিস্থানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছেন তাঁরা।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর