বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২০২১ এর ২ রা মে-র পরবর্তী সময় হোক কী পঞ্চায়েত ভোট__ভোট পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসায় ঝরেছে একের পর এক প্রাণ। কত পরিবার যে এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি তার ইয়ত্তা নেই। সরকারি হিসেব যা বলছে বেসরকারি হিসেব তার থেকে অনেক বেশি। এই নিয়ে লাগাতার শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধীরা। এবার সেইসব পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করল সরকার।
পঞ্চায়েত ভোটের ৪ মাস পর সরকার (Government Of West Bengal) জানালো পোস্ট পোল ভায়োলেন্সে (Post Poll Violence) নিহতদের নিকটাত্মীয়কে দেওয়া হবে চাকরি (Job)। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই ঘোষণা গত জুলাই মাসেই করেছিলেন। তবে রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর পড়ল ভোটের ৪ মাস পর। জানা যাচ্ছে, নিহতের নিকটাত্মীয়কে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।
যদিও এই ঘোষণার পরেও উঠেছে প্রশ্ন। সরকারি নথি অনুযায়ী, ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত ১৯ জন কর্মীর নিকটাত্মীয় এই চাকরি পাবে। যদিও বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, হতাহতের সংখ্যা ছিল ৫০ এরও বেশি। তাহলে বাকিদের কী হবে? উঠছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের পর তৃণমূল সমর্থকদের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছে বিরোধী দলের নেতা কর্মীরাও।
আরও পড়ুন : এবার নিষ্পত্তি হবে শিক্ষক নিয়োগ মামলা! বিরাট অ্যাকশন নিল কলকাতা হাইকোর্ট, চাপে দুর্নীতিবাজরা
এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী শিবিরের যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের নিকটাত্মীয়রাও কি চাকরি পাবে? সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সবাইকে ধরলে প্রায় ৬০- ৭০ জন মারা গেছে তাদের সবার রিক্রুটমেন্ট হবে কিনা? আগে তো উনি নিজেদের লোকেদের চাকরি দেন। এ ধরনের স্টেটমেন্ট মাঝেমধ্যে দেন উনি। এখন পর্যন্ত কতজনকে চাকরি দিয়েছেন?’
আরও পড়ুন : মলয়ের মাথায় বাজ! বড় রায় দিল হাইকোর্ট, এবার কী কপাল পুড়তে চলেছে রাজ্যের আইনমন্ত্রীর?
গত জুলাইয়ে পঞ্চায়েত ভোটের পর লাগামছাড়া হিংসার অভিযোগ আনে বিরোধীরা। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টাকে বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলে দাবি করেছিলেন। গত ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটের পর কয়েকটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। যেটাকে আমরা কেউই সমর্থন করিনা।’ যদিও বিভিন্ন বেসরকারি সূত্র দাবি করেছিল, রাজ্যজুড়ে প্রায় ৩৯ থেকে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যারমধ্যে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম সব দলের সমর্থকই রয়েছে। এখন প্রতিটি পরিবারই চাকরি পায় কি না সেটাই দেখার বিষয়।