বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লী থেকে ফিরেই সাত দিনের উত্তরবঙ্গ সফরের ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সোমবার তিনি উত্তরবঙ্গে যান। সেখানে গিয়ে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের রোষের মুখে পড়তে হয় ওনাকে। দেখানো হয় কালো পতাকাও। যদিও, ওনার কাছে এটা এখন প্রতিদিনের কাজের মতই হয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণে তিনি সেসবকে পাত্তা না দিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরে মনোনিবেশ করে রয়েছেন।
উত্তরবঙ্গ সফরের চতুর্থ দিনে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলার (John Barla) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জগদীপ ধনখড়। বেশ কয়েকদিন ধরে বিজেপির সাংসদ জন বারলার নাম বারবার শিরোনামে উঠে আসছে। কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গকে আলাদা করে নতুন রাজ্য অথবা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গড়ার দাবি জানিয়েছেন। ওনার এই দাবির সমর্থনও করেছেন আলিপুরদুয়ার জেলার তিন বিজেপি বিধায়ক।
উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রতি বঞ্চনা এবং বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা এসে জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ করে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি জানিয়েছেন জন বারলা। এছাড়াও তিনি বলেছিলেন যে, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে যারা উত্তরবঙ্গে ঢুকছে, তাঁরা আমাদের জমি দখল করে নিচ্ছে। সরকার তাঁদের রেশন কার্ড বানিয়ে দিচ্ছে, আর সব সুবিধাও দিচ্ছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের আদি বাসিন্দারা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবি করা বিজেপির সাংসদ আর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। আজ দার্জিলিংয়ের রাজভবনে গিয়ে জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জন বারলা। দুপুর ১২টা নাগাদ কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাকে সঙ্গী করে দার্জিংয়ের রাজভবনে যান জন বারলা। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক করেন।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1407982492267601921
রাজ্যপাল এই বিষয়ে টুইট করে জানিয়েছেন, ‘আজ আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা এবং কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ জন সদস্য এবং একজন জেলা পরিষদ এসেছিলেন দেখা করতে। ওনারা আমাকে জানিয়েছেন যে, তাঁদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছি।” প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আজ রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আলিপুরদুয়ারে ঘরছাড়া বিজেপির কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করেন জন বারলা। পাশাপাশি শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও অভিযোগ করেছেন তিনি।