বাংলা হান্ট ডেস্ক : কি অদ্ভুত কান্ড! খোদ চেয়ারম্যানের হয়ে হলফনামা দিচ্ছেন ‘ক্লার্ক’! পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। নির্দেশ কার্যকর করবেন শিক্ষা দফতরের সচিব। মধুসূদন ভট্টাচার্য্য পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান। প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বিধায়ক মধুসূদনবাবু।
পর্ষদের আপার ডিভিশন কেরাণীকে দিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ ছিল, একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষকের স্থানান্তরের বিষয়ে চেয়ারম্যানকে হলফনামা জমা দিতে। মধুসূদনবাবু আদালতে জানান, তিনি করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন, তাই এই কাজ করেছেন। তবে তিনি ক্ষমা চাইছেন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘অসুস্থ হলে পদত্যাগ করুন অন্য কেউ কাজ করবেন। আমি মনে করি, আপনি শারীরিক ভাবে এই পদে কাজ করতে অপারগ।’ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, রাজ্যের শিক্ষা সচিব এই চেয়ারম্যানকে সরানোর বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এক প্রাথমিক শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত মামলায় এমন নির্দেশ দেন তিনি। মামলাকারী আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান, বদলির নির্দেশ আদালত দেয়নি। তবে পূর্ব বর্ধমান ডিপিএসসি ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। বুধবার ওই চেযারম্যানকে এজলাসে তলব করা হয়। তারপরই কর্তব্যে গাফিলতির কারণে আদালতের বরখাস্তের পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রাথমিকে ‘পোস্টিং দুর্নীতি’ নিয়ে জেলে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় দু’ঘণ্টা মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের চার আধিকারিক।
সিবিআইয়ের এসপি কল্যাণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করেন দু’টি পৃথক মামলার তদন্তকারী আধিকারিক মলয় দাস, ওয়াসিম আক্রম খান-সহ চার জন। হাই কোর্টের নির্দেশে এই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়। এর পর রাতেই মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই।