বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni case) নয়া মোড়! বৃহস্পতিবার কামদুনি ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মুক্তি পাওয়া চার জনের উপর নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। কামদুনি ঘটনায় ১০ বছর পর সম্প্রতি এই ঘটনায় অভিযুক্ত আনসার আলি মোল্লা এবং সইফুল আলি মোল্লার ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফাঁসির সাজার বদলে আমিন আলীকে মুক্তি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বাকি তিন অভিযুক্ত ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুর ইসলামকেও মুক্তি দেয় হাইকোর্ট। এদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল নিম্ন আদালত। তবে হাইকোর্টের যুক্তি ছিল অভিযুক্তরা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাবাসে কাটিয়েছে, তাই ওই ৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।
হাই কোর্টের এই রায়ের পরই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা করে রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয়। মুক্তি পাওয়া ওই ৪ জনের ওপরই বিধিনিষেধ আরোপ করল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: অবশেষে জিতে গেলেন কুন্তল! ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে গেল বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, মুক্তি প্রাপ্তেরা জেলের বাইরে থাকলেও আপাতত তাদের কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মুক্তি প্রাপ্তদের প্রতি মাসে সোম এবং শুক্রবার থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। চার জনকেই তাদের মোবাইল নম্বর ও মোবাইল সম্পর্কিত তথ্য থানায় জমা করতে হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি পাওয়া ওই ৪ জন কোনও ভাবেই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের রাজারহাট থানার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার বাইরে পারবেন না। বাড়ির ঠিকানা সহ নিজেদের থাকার জায়গার ঠিকানার পুলিশকে বিস্তারে জানাতে হবে। এদের মধ্যে কারও কাছে পাসপোর্ট থেকে থাকলে, সেই পাসপোর্টও পুলিশের কাছে জমা দিতে হবে।
তাদের মধ্যে কেউ কোথাও যেতে চাইলে সেখানে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে পুলিশকে জানাতে হবে। কোথায় যাচ্ছেন, কী কারণে যাচ্ছেন, সেই তথ্যও পুলিশকে দিতে হবে। ফিরে এসে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। কোনও মতেই তারা কোনও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না।