বাংলাহান্ট ডেস্ক: অদ্ভূত মন্তব্য করায় জুড়ি মেলা ভার কঙ্গনা রানাওয়াতের (Kangana Ranaut)। আলটপকা মন্তব্য করে লাইমলাইট কেড়ে নিতে তিনি সিদ্ধহস্ত। তাঁর বক্তব্য, মতামত নিয়ে চর্চাও কম হয় না। বারবার ট্রোলডও হন ‘কুইন’। কিন্তু তবুও নেতিবাচকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে রয়েছেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি শেয়ার করেছেন কঙ্গনা। সেখানে নিজেকে কিংবদন্তি অভিনেত্রী মধুবালার (Madhubala) সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। বলিউডের স্বর্ণযুগের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুবালা। হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির ‘আনারকলি’ তিনি। এত বছর পরেও তাঁর সৌন্দর্যের চর্চা হয় সিনেপ্রেমীদের মধ্যে। মধুবালার মতো সুন্দরী অভিনেত্রী খুব কমই পেয়েছে বলিউড।
সেই মধুবালার সঙ্গেই এবার নিজের তুলনা করলেন কঙ্গনা। তাঁর কেরিয়ারের শুরুর দিকে নাকি তাঁকে মধুবালার মতোই দেখতে ছিল। নিজের তরুণী বয়সের ছবির সঙ্গে ‘মুঘল-এ-আজম’ অভিনেত্রীর একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে নিজের বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কঙ্গনা।
টিনএজ বয়সে বলিউডে পা রেখেছিলেন কঙ্গনা। তখনকার আর এখনকার লুকের মধ্যে অনেকটাই বদল এসেছে। আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে অভিনেত্রীর। তাঁর প্রত্যেক কথায় প্রকাশ পায় সেই আত্মবিশ্বাস। নিজের পুরনো ছবিগুলো শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘মানুষ চায় আমি অনস্ক্রিনে সিনেমার দেবী মধুবালার চরিত্রে অভিনয় করি। আমি যখন কেরিয়ার শুরু করি তখন মধুবালার তরুণী বয়সের সঙ্গে হুবহু মিল ছিল আমার। এখনকার কথা অবশ্য বলতে পারব না’।
তবে কঙ্গনার আত্মবিশ্বাস দেখে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, আত্মবিশ্বাস ভাল তবে অতিরিক্ত নয়। আরেকজনের কটাক্ষ, কঙ্গনার সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে। কোন দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেকে মধুবালার সঙ্গে তুলনা করছেন তিনি? প্রশ্ন তুলেছেন নেটনাগরিকদের একটা বড় অংশ।
প্রসঙ্গত, শোনা যাচ্ছে মধুবালার জীবনকাহিনি উঠে আসতে চলেছে বড়পর্দায়। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বায়োপিকটি এখন প্রি প্রোডাকশনের স্তরে আছে। মধুবালা ভেঞ্চারস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক নামী প্রযোজনা সংস্থা ভার নিতে চলেছে ছবিটা বানানোর। সঙ্গে থাকছে ‘শক্তিমান ট্রিলজি’ প্রযোজক ব্রিউয়িং থটস প্রাইভেট লিমিটেড।