বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও একবার টানটান উত্তেজনায় ভরপুর একটি মোড়ে এসে হাজির হয়েছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। একদিকে কোথা থেকে শতদ্রুর কথা শুনে এসে বাড়িতে অশান্তি শুরু করেছে পলাশ অন্যদিকে শাশুড়ির তীর্থে যাওয়ার টাকা জোগাড় করার জন্য নিজের গয়না বন্দক দিয়েছে শিমুল (Shimul)।
পলাশ এইদিন জানায়, শিমুলের অতীতে একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর তার নাম শতদ্রু, সে তখন চাকরি পায়নি বলেই শিমুল এই বিয়েটা করেছে। আর এটা শুনেই পরাগের মাথায় আগুন ধরে যায়। সে জানায়, এটা সত্যি হলে সে শিমুলকে ডিভোর্স দেবে, আর এই বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে তার মা-ও।
এবার শিমুল বাড়ি ফেরা মাত্রই যে সবাই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে সে কথা আর নতুন করে বলার কী আছে! সে কোথায় বেরিয়েছিল জানতে চাইলে শিমুল বলে, সে নিজের ব্যক্তিগত কাজে বেরিয়েছিল। তবে কোন কাজ সেটা জানায়না। তার শাশুড়ি বলে সে জানিয়ে যায়নি কেন? উত্তরে শিমুল বলে তিনি ঘুমাচ্ছিলেন বলে ডাকেনি। তখন তার ননদ তার বিরোধিতা করে বলে যে সে তো ছিল।
আরও পড়ুন : মায়ের সাথে বেড়ু বেড়ু, ব্যস্ততা সরিয়ে পরিবারের জন্য সময় বের করলেন দেব, প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটজনতা
আর তখনই পলাশ বলে, কেউ প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে কি আর বাড়িতে বলে যায়! চরিত্রহীন মেয়ে। শিমুল এই কথার প্রতিবাদ করলে পরাগ জানতে চায় শতদ্রু কে? শিমুল জিজ্ঞেস করে, ‘কে?’ এই কথার জবাবে পরাগ বলে ওঠে, ‘ন্যাকা সেজো না’। যদিও এখানেই শেষ হয়নি এই অত্যাচার। এরপর শিমুলের গায়ে হাত-ও ওঠে।
আরও পড়ুন : বিয়ের ফটোগ্রাফার থেকে পর্দার হিরো, চোখে জল আনবে ‘তোমাদের রানী’র দুর্জয়ের সংগ্রাম কাহিনী
রাতে শিমুলকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে ঘরে নিয়ে আসে পরাগ। শতদ্রুর কথা জানতে চাইলে শিমুল বলে, সেটা থেকেও থাকলে তা বিয়ের আগে ছিল। এখন দুজনেই নিজেদের মত করে সেটল্ড। আর এই সম্পর্ক টিকলে পরাগের মতো জানোয়ারকে বিয়ে করতে হতনা। এরপরেই শিমুলের গায়ে হাত তোলে পরাগ। এবং শিমুল জানায়, এই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের জন্য সে থানায় যাবে।