বাংলা হান্ট ডেস্কঃ 2023 সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে সেখানকার কংগ্রেস সরকার যে বর্তমানে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে, তা বলা বাহুল্য। সম্প্রতি, করৌলি হিংসা এবং রাজস্থানের বুকে অবস্থিত তিনশো বছরের পুরনো এক মন্দিরে বুলডোজার চালানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। রাজস্থানের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বর্তমানে মন্দির ধ্বংসের কারণ খুঁজে বের করার জন্য একটি কমিটি তৈরি করেছে।
সম্প্রতি, রাজস্থানের আলোয়ার জেলার সরায় নামক অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাচীন শিব মন্দির ধ্বংস করা হয় এবং বর্তমানে মন্দির ভাঙার কারণ খুঁজতে বিজেপি একটি কমিটি গঠন করেছে। চন্দ্রকান্ত, রাজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, ভবানী মীণা সহ মোট পাঁচ জনের এই কমিটি আগামী তিন দিনের ভিতর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজস্থানের বিজেপি সভাপতির কাছে একটি রিপোর্ট জমা করবে।
এদিন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য রাজস্থান সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, করৌলি এবং জাহাঙ্গিরপুরীতে যেভাবে হিন্দুদের ওপর বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে, সেটাই প্রমাণ করে কংগ্রেস দলের ধর্মনিরপেক্ষতা। 18ই এপ্রিল কোন রকম নোটিশ ছাড়াই হটাৎ হিন্দুদের একাধিক বাড়ি এবং দোকানে বুলডোজার চালায় সরকার।”
এছাড়াও এদিন রাজস্থানের মন্দির ভাঙার বিষয়ে এখনও রাহুল গান্ধী কেন চুপ করে রয়েছেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতা শাহজাদ পুনাওয়ালা। তবে এসব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে বিজেপি সাংসদ কিরোড়ি মীণার একটি মন্তব্য। তিনি মুখ্যমন্ত্রী অশোকের সঙ্গে ঔরঙ্গজেব-এর তুলনা করে বলেন, “গেহলট সরকার ঔরঙ্গজেব-র মত সকল পুরনো মন্দির ভেঙে ফেলছে।” তবে এত অভিযোগের মাঝে আসরে নেমে রাজস্থান কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেন, “মন্দির ধ্বংসের কাজ কংগ্রেস নয়, বরং পূর্বে বিজেপি সরকারই শুরু করে। আলোয়ার মন্দির দখল করা শুরু করেছিল বিজেপি। এটাই হলো বিজেপির প্রধান লক্ষ্য। নির্বাচন এলেই তারা এভাবে ধর্মের নামে অশান্তি ছড়িয়ে থাকে।”
এছাড়াও আলোয়ার জেলা আধিকারিক এর মতে, “সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই মন্দিরটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 6 ই এপ্রিল আমরা সকলকে নোটিশ দিয়ে দিই এবং 17 এবং 18 ইএপ্রিল লঙ্ঘন বিরোধী অভিযান শুরু করা হয়।”