সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! ফের একদফায় DA বৃদ্ধির ঘোষণা রাজ্যের, এতটা বাড়ল বেতন

বাংলা হান্ট ডেস্ক : একদিকে বাংলার চাকুরিজীবীরা যেখানে দিনের পর দিন ডিএ-র (Dearness Allowance) দাবিতে আন্দোলন করে চলেছে সেখানে ফের এক দফায় DA বৃদ্ধির ঘোষণা করল কেরালা সরকার। সূত্রের খবর, চলতি বছরের এপ্রিল থেকেই এই বর্ধিত DA-র সুবিধা পাবেন সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা। এছাড়া আরও একটি নয়া পেনশন স্কিমের ঘোষণা করেছে কেরালা সরকার।

আজ সোমবারই কেরালার বাজেট পেশ হয়। এইদিন অর্থমন্ত্রী কেএন বালগোপাল কেরালা বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন। আর সেখানেই আরও এক দফায় DA বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে কেরালা সরকার। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকেই এই বর্ধিত ডিএ হাতে পাবেন সরকারি কর্মচারি এবং পেনশনভোগীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কেরল সরকারের অধীনে কর্মরত কর্মচারীরা কনট্রিবিউটরি পেনশন পেয়ে থাকেন। এই নিয়মে একজন চাকুরিজীবী যা বেতন পান তার একটা নির্দিষ্ট অংশ পেনশন প্রকল্পে জমা করে থাকেন। এবং চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার পর এই জমানো টাকার একটা নির্দিষ্ট অংশ প্রতি মাসে পেয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন : আজই ছিল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি! DA মামলা নিয়ে বড় আপডেট দিল মামলাকারী সংগঠন, মিলল সুখবর?

DA-র পাশাপাশি আরও নানাবিধ সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করে কেরালা সরকার। রাজ্য বাজেট থেকে এই খাতে প্রায় ৫৫৩.৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেরল সরকার। এছাড়াও শিক্ষা খাতেও বেশ ভালো রকম টাকা বরাদ্দ করেছে কেএন বালাগোপাল। একইরকমভাবে রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে আরও উন্নত করতে সেই খাতেও ঢালাও টাকা ঢালছে কেরল সরকার।

আরও পড়ুন : আয় বাড়াতে ‘নাম বিক্রি’! মাত্র ৯ মাসে ৪৯% অতিরিক্ত মুনাফা কলকাতা মেট্রোর

images 2 1

এদিকে বাংলার কথা বললে, এই মুহূর্তে ১০ শতাংশ হারে ডিএ দিয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত বছরের বড়দিনে ফের একবার ৪ শতাংশ DA বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এতে মোটেও খুশি নন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে চলেছেন তারা। ওদিকে গত মাসে ফের একবার DA বাড়িয়েছে আম আদমি পার্টি বা AAP শাসিত পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও। অর্থাৎ পাঞ্জাব সরকারের অধীনে কর্মরত কর্মচারীরা এখন মহার্ঘ্য ভাতা বাবদ পাচ্ছেন বেসিক বেতন কাঠামোর ৩৮ শতাংশ।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর