মমতার স্বপ্নের কর্মতীর্থের একী হাল! রাতে দেদার মদ্যপান থেকে পায়রার ঘোরাঘুরি, বাদ নেই কিছুই

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মস্থানের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি হয় কর্মতীর্থ। তবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কর্মতীর্থের আজ বেহাল দশা। তৈরির সাত বছর পর এই করুণ দশা দেখে অনেকেই স্তম্ভিত। যতদিন যাচ্ছে কর্মতীর্থের ভবন পরিণত হচ্ছে রীতিমতো হানা বাড়িতে। রাত হলেই কর্মতীর্থের ভবনে বাড়ছে অসামাজিক কাজকর্ম।

লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে যে কর্মতীর্থ তৈরি করা হয়েছিল তা নিয়ে বিরোধীদের রয়েছে একগুচ্ছ অভিযোগ। বিরোধীরা অভিযোগ তুলে বলছেন কর্মসংস্থানের নামে ঠকানো হয়েছে সাধারণ মানুষকে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করে স্থানীয় পঞ্চায়েত তথা তৃণমূল শিবির নতুন করে কর্মতীর্থ চালু করার আশ্বাস দিয়েছে।

আরোও পড়ুন : ভাঙছে ১৪৫ বছরের রেকর্ড! আরোও তাড়াতাড়ি পৌঁছবে দার্জিলিং মেল, কমবে প্রচুর সময়; জানাল রেল

চন্দ্রকোনা-২ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে লাখ লাখ টাকা খরচ করে কর্মতীর্থ তৈরি করা হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ন্তীপুর এলাকায়। ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। অভিযোগ এরপর ৭ বছর কেটে গেলেও কর্মসংস্থান হয়নি কিছুই। বিদ্যুৎ, পানীয় জল থেকে শুরু করে শৌচাগার, সব ধরনের ব্যবস্থাই রয়েছে কর্মতীর্থে।

আরোও পড়ুন : ‘আমি আর সহ্য করতে পারছি না’….দু চোখ ভরা জল; দেখুন, হঠাৎ কী হল অরিজিতের

এই বিশাল ভবনটি এখন ঢেকে গেছে আগাছায়। ভেঙে গেছে বেশ কিছু ঘরের দরজা ও জানলা। ভেঙে দেওয়া হয়েছে লাইট। খালি মদের বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কর্মতীর্থের চারদিকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন রাত হলেই এখানে বসে মদের আসর। চলে নানা ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম। গত তিন বছর হল কর্মতীর্থের ভবনে সহায়ক মূল্যে কৃষকদের থেকে ধান কেনার জন্য ধান ক্রয় কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।

768 512 15614512 thumbnail 3x2 wmed

সকালবেলা দুজন কর্মী এখানে  কৃষকদের থেকে ধান কেনার কাজ করেন। তবে রাত্রিবেলা এখানে কেউ থাকতে চান না পরিবেশের জন্য। চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলোক ঘোষ জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আগামী দিনে যাতে এই প্রজেক্টটি সফলতা পায় সেই জন্য বিডিওদের সাথে কথা বলব।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর