বাংলা হান্ট ডেস্ক:মেঘ বৃষ্টির খেলার মধ্যেই আকাশে সাদা মেঘ উকি মেরে শরতের আগমন বুঝিয়ে দিচ্ছে। আসছে শারদীয়ার সময়। ঘরে ফিরছে উমা। আর মায়ের ঘরে আসার এই উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে বাংলা, সেজে উঠেছে তিলোত্তমা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে তৈরি বাঁশের কাঠামো। তাতে চলছে কোথাও তুলির টান তো কোথাও হরেক রকমের সামগ্রীর কাজ। কোথাও থিম, কোথাও সাবেকিয়ানা। নিজেদের ভাবনা মণ্ডপে তুলে ধরতে যেমন ব্যাস্ত মণ্ডপ শিল্পীরা তেমনই কুমোরটুলি প্রতিমা তৈরি করতে ব্যাস্ত প্রতিমা শিল্পী রা। শহরের নামি পুজো গুলো ভীড় টানার জন্য শুরু করে দিয়েছে তোড়জোড়।
এমনই এক নামি পুজো হল খিদিরপুর ৭৪ পল্লী। ৬৪ বছরে পা দিল কলকাতার অন্যতম নামি পুজো খিদিরপুর ৭৪ পল্লী র পুজো। তাদের এবারের ভাবনায় উঠে এসেছে শব্দের ব্যবহার, আর তার সাথেই আছে মা ও তার সন্তানেরা।তারা তাদের প্যান্ডেলে এমন একটি শব্দ ব্রহ্ম তৈরি করছে যার মাধ্যমে তারা মায়ের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে নিজেদের প্রার্থনা । মণ্ডপের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে একটা বিশাল আকারের ঢোল। উদ্যোক্তাদের মতে মানুষ যখন এই মণ্ডপে প্রবেশ করবে প্রবেশ করার পরই প্রথমে তারা দেখবে বাংলার আদি বাদ্যযন্ত্র ঢোল। ঢোল এর মহিমাও তারা ফুটিয়ে তুলেছে। বাইরে থেকে দেখা যাবে এই ঢোলের অর্ধেক অংশ , যার মধ্যে আছে একটা ছোট ঢোল। তাদের মতে ঢোল একটি এমনই বিশেষ শব্দ তরঙ্গ যার মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ শব্দ ব্রহ্ম রূপে সমস্ত প্রার্থনা এক করে তাকে নিয়ে পৌঁছে দেয় মায়ের কাছে।