বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ‘কিরীটকণা’ বা ‘কিরীটকোণা’ গ্রামে অবস্থিত কিরীটেশ্বরী শক্তিপীঠগুলির অন্যতম। লালগোলার রাজা ভগবান রায় এই মন্দিরটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পান আকবরের থেকে। উনিশ শতকে হঠাৎ ভেঙে পড়ে প্রাচীন এই মন্দির। এরপর মন্দিরটি নতুন ভাবে গড়ে ওঠে লালগোলার সেই সময়কার রাজা দর্পনারায়ণ রায়ের উদ্যোগে।
ভগবান রায়েরই বংশধর এই দর্পনারায়ণ। কথিত আছে সতীর ‘কিরীট’ অর্থাৎ মুকুটের কণা পড়েছিল এখানে। তাই এই মন্দিরের দেবীকে মুকুটেশ্বরী নামেও ডাকা হয়ে থাকে। এই জায়গা যেহেতু দেবীর কোনও অঙ্গ পড়েনি, তাই এই মন্দিরটিকে অনেকে ‘পূর্ণ পীঠস্থান’ না বলে ‘উপপীঠ’ হিসাবেও আখ্যায়িত করে থাকেন। তবে ভক্তদের কাছে এই মন্দিরের গুরুত্ব অপরিসীম।
আরোও পড়ুন : আর যেতে হবে না পুরী! দিঘায় কবে খুলছে জগন্নাথ মন্দির, প্রকাশ্যে এল সম্ভাব্য দিনক্ষণ
অনেকের মতে রাজা রামকৃষ্ণ রায়ের মতো সিদ্ধতান্ত্রিক সিদ্ধি লাভ করেছিলেন এই স্থানে। প্রথা অনুযায়ী এখানে রয়েছে দেবীর ভৈরবও। এখানে তার নাম সংবর্ত। এখানে সংবর্ত নামে পুজো করা হয় একটি বুদ্ধ মূর্তিকে। এই প্রথা রাঢ় অঞ্চলের সাথে প্রাচীন বৌদ্ধ সংস্কৃতির সম্পর্কের পরিচয়ও বহন করে থাকে। তবে এই মন্দিরে কোনও দেবী মূর্তির দেখা মেলেনা।
আরোও পড়ুন : উৎসবের মরশুমে বাড়বে বেতন! DA নিয়ে দুর্দান্ত ইঙ্গিত সরকারের, দেখুন মাসে আপনি পাবেন কত
এখানে একটি ছোট পাথরের উপর প্রস্তরখন্ডকেই দেবী রূপে পুজো করা হয়। এছাড়াও বেশ কিছু ছোট মন্দির রয়েছে কিরীটেশ্বরী মন্দিরের আশেপাশে। ধারণা করা হয় এগুলির মধ্যে চারচালা মন্দিরটি সপ্তদশ শতকে নির্মাণ করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ৩১টি রাজ্য থেকে ৭৯৫টি আবেদন এসেছিল। এগুলির মধ্যে থেকেই এই সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলার গ্রাম।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভারত সরকারের পর্যটন বিভাগের পক্ষ থেকে ‘বেস্ট ট্যুরিজম ভিলেজ অফ ইন্ডিয়া’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে যে গ্রামে কিরীটেশ্বরী মন্দির রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আগামী ২৭ শে সেপ্টেম্বর এই পুরস্কার বাংলার হাতে তুলে দেবে দিল্লিতে। ফলে, আপামর বাংলার মানুষের যে এক গর্বের দিন তা বলাই বাহুল্য।