বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতীয় সংগীত জগতের স্বর্ণযুগের গায়কদের কথা বললে সবার প্রথমে তালিকায় আসে মহাম্মাদ রফি কিংবা কিশোর কুমারের (Kishore Kumar) নাম। রফি সাহেব ছিলেন কিশোর কুমারের (Kishore Kumar) সিনিয়র। তখনও কিশোর কুমারের (Kishore Kumar) উত্থান হয়নি। সেসময় ভারতীয় সংগীত জগতে একছত্র আধিপত্য ছিল মহম্মদ রফির (Mohammed Rafi)।
কিশোর কুমারের (Kishore Kumar) জন্য জনপ্রিয়তা হারান মহম্মদ রফি
কিন্তু আবির্ভাবের সাথে সাথেই যেন সমস্ত লাইম-লাইট একাই কেড়ে নেন কিশোর কুমার। বিশেষ করে ১৯৬৯ সালে কিশোর কুমার পৌঁছে গিয়েছিলেন সাফল্যের শিখরে। সেসময় নিজের গানের জাদুতে আসমুদ্র হিমাচল গোটা দেশবাসীর মনে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছিলেন এই বাঙালি গায়ক। কিশোর কুমারের ঝুলিতে তখন একের পর এক হিট গান।
একটা সময় এমন গানের জগতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে তিনি। জনপ্রিয়তার নিরিখে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন খোদ মোহাম্মদ রফিকেও। বিশেষ করে ‘আরাধনা’ সিনেমা মুক্তির পর সকলের পছন্দের গায়কের তালিকায় এক নম্বরে ছিলেন কিশোর কুমার। সেইসময় সিনেমায় কিশোর কুমারের গান থাকা মানেই তা ছিল সুপার ডুপার হিট।
তাই প্রযোজোগরাও চাইতেন তাঁদের সিনেমায় অন্তত একটা হলেও কিশোর কুমারের গান যাতে থাকে। তাই গায়কের দরজায় সব সময় আনাগোনা লেগেই থাকত নামিদামি প্রযোজকদের। একদিকে কিশোর কুমারের কেরিয়ার গ্রাফ যত দ্রুততার সাথে বাড়তে শুরু করেছিল ঠিক ততটাই গুরুত্ব হারাতে শুরু করেছিলেন মহম্মদ রফি।
আরও পড়ুন : ঐশ্বর্যকে সারারাত ঘুমোতে দেন না অভিষেক! কি করেন দুজন? ফাঁস বেডরুম সিক্রেট
যা নিয়ে আফসোস করেছিলেন খোদ মহাম্মদ রফি নিজেও। ২০১৭ সালের এক সাক্ষাৎকারে অতীতের এমনই এক ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন মহেন্দ্র কাপুরের ছেলে রোহন কাপুর। একবার নাকি মহেন্দ্র কাপুরকে মহাম্মদ রফি বলেছিলেন, ‘আমার খুব খারাপ লাগছে, আমি দেখা করতে চাই’। এরপর মহাম্মদ রফি মহেন্দ্র কাপুরের বাড়িতে আসেন।
আর সেখানে এসে মহাম্মদ রফি আফসোসের সুরে মহেন্দ্র কাপুরকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আমি কি খারাপ গায়ক হয়ে গিয়েছি?’ যারা একটা সময় পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেন তারা আজ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এমনকি চিনতে পারছেন না’। সেসময় জবাবে মহেন্দ্র কাপুর বলেছিলেন একটাই কথা। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা যদি তাঁরা তোমার সঙ্গে করতে পারে, তবে যে কোনও স্টারের সঙ্গেই করতে পারে। এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। এই ধরনের মানুষেরা এভাবেই ব্যবহার করে থাকেন।’