বাংলাহান্ট ডেস্ক : সঙ্গীত শিল্পী কেকে-র মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা ভারত। আর তার থেকেও বেশি অপরাধ বোধে ভুগছে কলকাতা শহর। কলকাতার নজরুল মঞ্চে গান করার পর অসুস্থ হয়ে পরে কেকে।তার তারপরই কেকের মৃত্যু হয়। কেকের এই মৃত্যুর কারণ হিসেবে অনেকেই নজরুল মঞ্চে ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও সেই পথে হাঁটলেন। বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল কেকের মৃত্যুতে ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় কেকের মৃত্যু নিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমি সেই দিনের অনুষ্ঠানে ভিডিও দেখেছি। প্রেক্ষাগৃহে তুলনায় জনসংখ্যা বেশি ছিল। আগে থেকেই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। আর নজরুল মঞ্চের এসব দেখার দায়িত্বে যারা ছিল তারাই দায়ী।’
রাজ্যপালের এই মন্তব্য পাল্টা উত্তর দিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন ‘রাজ্যপালের মন্তব্য শুনে মনে হচ্ছে গোটা ঘটনাটা ইচ্ছাকৃত হয়েছে। রাজ্যপালের উচিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চেয়ারে গিয়ে বসা।’ তবে বলে দিই কেকে-র মৃত্যুর পরের দিন ববি নিজেই বলেছিলেন, ওখানে ২৭০০ লোক ধরার ক্ষমতা ঢুকেছিল ৭ হাজার। কী ভাবে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করবে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা গান শুনতে গেছে। পুলিশ কি লাঠি চালাবে।
যদিও শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, নজরুল মঞ্চে ভিড় হয়েছিল ঠিকই কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত নয়। ফলে সেদিন কোনো অব্যবস্থা হয়নি।পাশাপাশি কেকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোন অস্বাভাবিক অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। বিজেপি থেকে বাম সবাই তৃণমূলকে দোষারোপ করে কেকে-র মৃত্যুকে ‘খুন’ বলে দেখাতে চাইছে। রাজ্যপালও তাদের পথে হেঁটে সেদিনকার ব্যবস্থাপনাকে কাঠগড়ায় তুললেন।