বাংলা হান্ট ডেস্ক: আম্বানি, আদানি থেকে শুরু করে মিত্তল কিংবা বিড়লা আমাদের দেশে ধনী শিল্পগোষ্ঠী আছে অনেক। কিন্তু আজ পর্যন্ত সকলের জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে একটাই শিল্প গোষ্ঠী। তারা হলেন টাটা গোষ্ঠী (Tata Group)। এই গোষ্ঠীর ওপরেই সাধারণ মানুষের ভরসা রয়েছে একটু বেশি। তাই ভারতবর্ষে লবণ থেকে শুরু করে প্লেনসহ অন্যান্য সমস্ত ক্ষেত্রেই জালের মতো বিস্তার করেছে টাটা গোষ্ঠীর ব্যবসা।
টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যতের লিডার মায়া টাটা (Maya Tata) কে হয় রতন টাটার?
জেআরডি টাটার হাতে তৈরি এই সংস্থাটি আগাগোড়াই পেয়েছে যোগ্য নেতা। তাই শুরু থেকে যে বা যারাই এই সংস্থার দায়িত্ব নিয়েছেন তারাই এই শিল্প গোষ্ঠীকে নিয়ে গিয়েছেন সাফল্যের শিখরে। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ উদাহরণ হলেন রতন টাটা (Ratan Tata)। যদিও এখন বয়সের ভারে ধীরে ধীরে নিজের দায়িত্ব অন্যদের বুঝিয়ে দিয়ে অবসর নিতে চাইছেন এই লিভিং লেজেন্ড।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল আগামী দিনে ভারতের এই সফল শিল্প গোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দেবে কে? তালিকায় বেশ কয়েকটি নাম উঠে আসলেও, সবার আগে রয়েছে এক মহিলার নাম। তিনি হলেন মায়া টাটা (Maya Tata)। কিন্তু তিনি কে? তাঁর সাথে কি সম্পর্ক রতন টাটার? আসলে বছর ৩৪-এর মায়া (Maya Tata) লাইমলাইট থেকে দূরে থাকতে ভালোবাসেন রতন টাটার মতোই। তাই সাধারণ মানুষ তো বটেই, টাটা গোষ্ঠীর মধ্যেও অনেকেই চেনেন না মায়াকে (Maya Tata)।
আরও পড়ুন: ট্রেনের টিকিটে ছাড় পাবেন প্রবীণরা! কবে থেকে ফিরছে পুরনো নিয়ম? স্পষ্ট করলেন রেলমন্ত্রী
আসুন তাহলে জানা যাক এই মায়া টাটার আসল নাম পরিচয়। আসলে মায়া টাটা হলেন রতন টাটার ভাইঝি। রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার মেয়ে হন মায়া। আর তাঁর মা আল্লু মিস্ত্রি টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান, প্রয়াত সাইরাস মিস্ত্রির বোন। আর এই সূত্রেই সাইরাস ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং স্টার্লিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের মাধ্যমে, টাটা সন্সে মিস্ত্রি পরিবারের ১৮.৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তাই সব দিক বিবেচনা করেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে মায়া টাটাই টাটা গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিতে চলেছেন।
আসলে বয়স কম হলেও, টাটা গোষ্ঠীর বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন মায়া।তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতাও কিন্তু বেশ ঈর্ষণীয়। জানা যায় ব্রিটেনের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেইস বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা করার পাশাপাশি নিজের ব্যবসায়িক দক্ষতায়ও পারদর্শী মায়া। প্রথমে তিনি নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, টাটা ক্যাপিটালের ফ্ল্যাগশিপ প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড, এবং টাটা অপর্চুনিটিজ ফান্ডে। দক্ষতার সাথে সামলেছেন টাটা গ্রূপের আরও একাধিক দায়িত্ব। এমনকি টাটা গোষ্ঠীর নতুন অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে মায়ার।