বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গায়ত্রী মন্ত্র (Gayatri mantra) হিন্দুধর্মের সকল মন্ত্র তন্ত্রের মধ্যে খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। প্রায় ২,৫০০-৩,৫০০ বছর আগে ঋগ্বেদে এই মন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়।যা ঋগ্বেদের একটি সূক্ত হিসাবে বিবেচিত। এই মন্ত্রকে আবার “সাবিত্রী মন্ত্র”ও বলা হয়। বিভিন্ন পূজা পাঠের মতো, এই গায়ত্রী মন্ত্রেরও পূজা করা হয়।
গায়ত্রী মন্ত্র
ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ
তৎ সবিতুর্বরেণ্যং
ভর্গো দেবস্য ধীমহি
ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ।।
বাংলায় অনুবাদ–
সর্বলোকের প্রকাশক সর্বব্যাপী সবিতা মণ্ডল জগৎ প্রসবকারী সেই পরম দেবতার বরেণ্য জ্ঞান ও শক্তি ধ্যান করি; যিনি আমাদের বুদ্ধিবৃত্তি প্রদান করেছেন।
এই পরম গায়ত্রী মন্ত্রের অনুবাদ আবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও করেছেন। তাঁর ভাষায়–
“যাঁ হতে বাহিরে ছড়ায়ে পড়িছে পৃথিবী আকাশ তারা ,
যাঁ হতে আমার অন্তরে আসে বুদ্ধি চেতনা ধারা—
তাঁরি পূজনীয় অসীম শক্তি ধ্যান করি আমি লইয়া ভক্তি”।
এই মন্ত্র পাঠ, মানুষকে যেকোনো রকম বিপদ থেকে সুরক্ষিত রাখে। মানুষের মন থেকে অজ্ঞতা দূর করে চিন্তাকে শুদ্ধ করে। সকল বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে যোগাযোগ দক্ষতাকে অনেক উন্নত করে তোলে। এবং সর্বোপরি মানুষের মানসিক দৃষ্টির উন্মোচন করে।
প্রতিদিন ভোরবেলা এবং সন্ধ্যেবেলায় গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করলে মনের হোক কিংবা শরীরের হোক বা মস্তিষ্কের সবরকম ক্ষত এবং যন্ত্রণার উপশম ঘটে। সেই সঙ্গে মন থেকে খারাপ চিন্তার মুক্তি ঘটে, ইতিবাচক শক্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মস্তিষ্ক এবং হার্টের কর্মক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি পরিবেশের খারাপ উপস্থিতির বিনাশ ঘটিয়ে, শুভ শক্তির উদয় ঘটায়।