বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জেলায় জেলায় একই অভিযোগ। রাজ্যের পড়ুয়াদের ট্যাব (Tab Scam) কেনার টাকা নিয়ে কেলেঙ্কারিতে মুখ পোড়ার জোগাড় রাজ্যের। একাধিক স্কুল থেকে লাগাতার একই অভিযোগ আসতে থাকায় কার্যত নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য দেওয়া ট্যাবের (Tab Scam) টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ায় আসরে নেমেছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়-ও।
ট্যাবের (Tab Scam) টাকা চুরি হচ্ছে কীভাবে?
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি স্কুলের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব (Tab Scam) কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার।অনলাইনে পড়াশোনার জন্য করোনাকাল থেকেই এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। এবার এই প্রকল্পের টাকা নিয়েও উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ। রাজ্যের পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য ট্যাব কেনার টাকাও এবার চুরি হতে শুরু করেছে।
বর্ধমানের একটি স্কুলের ২৮ জন পড়ুয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ট্যাবের টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি প্রথম নজরে আসে সবার। সেসময় বিষয়টি শিক্ষা দপ্তরের নজরে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি এই প্রকল্পের টাকা নিয়ে কারা জালিয়াতি করেছে তার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেইমতো তদন্ত শুরু করেন রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: সব্জি নাকি সোনা! আলু-পেয়াঁজের আকাশছোঁয়া দামের রহস্য ভেদ করল টাস্ক ফোর্স
তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে তাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ১০ অভিযুক্ত। সেইসাথে তদন্তে নেমে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে এই ট্যাব তদন্তে কোথাও না কোথাও যুক্ত থাকতে পারেন স্কুলের কর্মীরা। বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত এই ট্যাব দুর্নীতি নিয়ে মোট ৫৬ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে মোট ১০ জন।
এদের মধ্যে বর্ধমান থেকে পাঁচজন এবং পূর্ব মেদিনীপুর থেকে তিনজন এছাড়া চোপড়া থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে দুজন। তবে এদের মধ্যে কারও সাথেই এখনও পর্যন্ত এই দুর্নীতি চক্রে সরাসরি কোন যোগ পাওয়া যায়নি। তবে এরা প্রত্যেকেই একই গোষ্ঠীর নাকি এদের আলাদা আলাদা চক্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়াও এই অভিযুক্তরা কিভাবে এই ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে আবেদনকারীদের ইউজার আইডি আর পাসওয়ার্ডই পেলেন সেবিষয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় সবথেকে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে ঝাড়গ্রাম থেকে।