বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি-তে চলছে ব্যক্তি আক্রমণের পর্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) চাকরি দুর্নীতি প্রসঙ্গে বামেদের আগ্রাসন রুখতে অভিনব পন্থা নিয়েছে টিএমসি হাইকমান্ড। এরই মধ্যে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) অভিযোগ তুলেছিলেন সিপিএম কর্মী শতরূপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সিপিএমের একজন হোলটাইমার হয়ে শতরূপ (Shatarup Ghosh) গাড়ি কেনার জন্য এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোথা থেকে পেলেন?
এই পাল্টা জবাব দিয়েছেন শতরূপ। চাঁচাছোলা ভাষায় কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন যে কিভাবে তার বাবা তাকে গাড়িটি উপহার দিয়েছিল। তারপর কুণাল ঘোষের বাবার সম্পর্কেও কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এরপর এই বিষয় নিয়ে দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই একে অপরকে তীব্র আক্রমণ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা দিন জুড়ে।
শতরূপ ঘোষ বলেন, “ভেবে দেখলাম, কুনাল ঘোষের অভিমান সঙ্গত। আমার বাবা যদি আমাকে গাড়ি না কিনে দিয়ে সেই টাকায় একটা রাজ্য-সরকারী চাকরি কিনে দিতেন, তাহলে এই সুযোগে কুনালদেরও কিছু ইনকাম হতো।” এর পাল্টা দিতে গিয়ে কুণাল বলেন, “কিছু জ্ঞানপাপী ছাগল না বোঝার ভান করছে আসল প্রশ্নটা। তথাকথিত সর্বহারার দলের হোলটাইমার কমরেড, যে কথায় কথায় মার্কস লেনিন কপচায়, তার ২২ লাখ টাকার গাড়ি কেনার শখ বা মানসিকতা হয় কী করে? তার মানে সে দামি গাড়ি নিয়ে ভাবে, নেটে ছবি দেখে, কোনটা কিনবে চিন্তা করে; আর তারপরেও বলে কমিউনিস্ট।
বামেদের সব হোলটাইমাররা সমর্থন করেন হোলটাইমারের ২২ লাখি গাড়ি? আমি নিশ্চিত, করেন না।” এই ব্যক্তিগত আক্রমণ প্রতি আক্রমণের বহর দেখে পশ্চিমবঙ্গের নেটিজেনরা এই মন্তব্য করেছেন যে তাদের দুজনের লড়াই যেন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মধ্যে হওয়া তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাকেও হার মানিয়ে দিচ্ছে।
এখানে একটা ব্যাপার হয়তো অনেকেই জানেন না যে রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও শতরূপ এবং কুণাল, দুজনেই মোহনবাগানের কট্টর সমর্থক। মোহনবাগান ক্লাবের সাথে সরাসরি যুক্তও আছেন কুণাল ঘোষ। যদিও কুণাল ঘোষের এই মোহনবাগানের সঙ্গে যুক্ত থাকার ঘটনাটা মানতে পারেন না একাংশ সমর্থক। কুনাল ঘোষকে চোর সম্বোধন করে ক্লাবের সঙ্গে যোগসূত্র ছিন্ন করার কথাও বলে থাকেন অনেকেই। একজন জেল খাটা আসামিকে মোহনবাগানের সঙ্গে দেখতে চান না এমন মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তেমন কিছু উদাহরণ নিচে ছবিতে তুলে ধরা হলো এবং কমেন্ট যারা করেছেন তাদের সুরক্ষার স্বার্থেই তাদের পরিচয় গোপন রাখা হল:
আজ এই নানান রকম কাজিয়ার মধ্যেও তিনি একবার মোহনবাগান ক্লাবে গিয়েছিলেন এবং সেই ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “সৌজন্য সাক্ষাৎ। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ও কর্মসমিতির কয়েকজন মাননীয় সদস্য। মঙ্গলবার রাতে। গল্প হল কিছুক্ষণ। টিমের আই এস এল জয়, এটিকে শব্দের অপসারণ, হকি লিগ জয়সহ একাধিক তৃপ্তিদায়ক ঘটনার পর একটু নিখাদ আড্ডা। জয় মোহনবাগান।”