লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা চেক করতে গিয়েই সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য, কেলেঙ্কারি জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ আম জনতা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রেও টাকা সুরক্ষিত নয়। লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকা চেক করতে গিয়ে সামনে এল ভয়ানক তথ্য। চন্দননগর লালদিঘীর ধারে যে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র রয়েছে সেখান থেকেই নাকি উধাও হয়ে গেছে গ্রাহকদের টাকা। গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে দেখা যাচ্ছেনা গচ্ছিত টাকার অস্তিত্ব। আর সেটা নিয়েই উদ্বিগ্ন গ্রাহকরা। গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের পরিচালক টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেননা গ্রাহকরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চন্দননগর লালদিঘীর ধারে এক রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে একটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানেই টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন এলাকার মানুষজন। তবে হঠাৎ করেই তাদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা দেখা যাচ্ছেনা। এরপরেই গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয় গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের পরিচালক শোভনলাল নন্দী।

বলে রাখা ভালো, কোনও এলাকায় ব্যাঙ্কের শাখা অফিস থাকলে সেখানেই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খোলে। আসলে এতে গ্রাহকদের জন্যই সহজ হয়ে ওঠে সবকিছু। তারা ব্যাঙ্কের সমস্ত কাজ এইসব গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকেই করতে পারেন। পাসবই আপডেট করানো থেকে শুরু করে টাকা তোলা সবটাই করা যায় এইসব কেন্দ্র থেকে।

আরও পড়ুন : দক্ষিণবঙ্গে ‘অশনি’ সংকেত! ৭২ ঘণ্টা কাঁপিয়ে ঝড়বৃষ্টি জেলায় জেলায়, IMD-র ভয়ঙ্কর রিপোর্ট

এভাবেই এইদিন পাসবই আপডেট করার জন্য গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে পৌঁছান চন্দ্রিমা মণ্ডল নামক এক স্থানীয় ব্যক্তি। তার অভিযোগ, “ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যে টাকা জমা দিয়েছি, কিছুই নেই এখানে। আমি ম্যানেজারকে জানাতে বলছে দেখবেন।” অপর এক গ্রাহক জানিয়েছেন, “মায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ব্যালান্স চেক করার সময় দেখি টাকার গোলমাল।”

আরও পড়ুন : ‘সন্দেশখালি হয়ে উঠেছে দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম’, দিল্লি যাওয়ার আগে হুঙ্কার শুভেন্দুর

ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রাহকরা পৌঁছান ব্যাঙ্কের চন্দননগর শাখায়। সেখানে ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে জোনাল অফিসে। ম্যানেজার তথাগত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমি যা শুনলাম লক্ষ টাকার কাছাকাছি গ্রাহকরা জমা করেছেন, কিন্তু জমা হয়নি। আমি ওনাদের অভিযোগ জানাতে বলেছি। আমরা সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করব।’


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর