বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চিত্রাদুর্গার একজন সাধারণ সবজি বিক্রেতার মেয়ে ললিতা এবছর অ্যারোনথিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং (Aeronautical Engineering) অর্থাৎ বৈমানিক ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। ললিতাই পরিবারের সেই প্রথম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে। অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে কোনো বাধাই বাধা হতে পারে না। এই ঘটনাটি সেটা আরও একবার প্রমাণ করে দিল। পথের মধ্যে কাটাকে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই হল জীবন।
২২ বছর বয়সী লালিথার বাবা পার্শ্ববর্তী নেহেরু মার্কেটের (Nehru Market) একজন সবজি বিক্রেতা। প্রতিদিন সকালে উঠে সে তার বাবা-মাকে তাঁদের কাজে সাহায্য করে, তারপর সে নিজের পড়াশুনা শুরু করে। ললিতা পড়াশুনার পাশাপাশি তার বাবাকে সবজি বিক্রিতেও সাহায্য করত।
ললিতা একজন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। গত ১লা ফেব্রুয়ারী তার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। সে এবছর সর্বোচ্চ নম্বর ৭০৭ পেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তার এই দুর্দান্ত সাফল্যে তার বাড়ির লোক, পাড়া প্রতিবেশী সহ সকলেই তাকে আভিনন্দন জানায়। এই সাফল্যকে উৎসাহ দিতে ললিতাকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সহ উপাচার্য গোল্ড মেডেল পুরস্কারে সম্মানিত করেন। ললিতা জানায় যে সে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ না গিয়ে দেশেই থাকতে চায়। সে আরও জানায় যে ISRO প্রধান কে শিভান (K Shivan) তার জীবনের অনুপ্রেরণা, তাকে তার কাজে ললিতা সাহায্য করতে চায়।
ললিতাকে অভিনন্দন জানিয়ে নোবেল প্রাপক কৈলাশ সত্যার্থি (Kailash Satyarthi) বলেন, “Bravo, dear Lalitha beti! You and your parents are true inspiration. Chase your dream with same determination and self confidence.”( সাবাশ ললিতা তুমি এবং তোমার বাবা-মা সত্যিই আর্দশবান। তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সঠিকভাবে এবং মনস্থির করে নেবে।)