বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘অধিকারী-গড়’ তমলুকে বিজেপি প্রার্থী কে হবেন এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা-কল্পনা চলছে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নাম। ইতিমধ্যেই জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এবার এই খবরে কার্যত শিলমোহর দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
সম্প্রতি বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির নেতৃত্ব এবং দলের পঞ্চায়েত পদাধিকারীদের নিয়ে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) প্রস্তুতি সভা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সভাতেই শুভেন্দু জানিয়েছেন, তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে একটি নামই প্রস্তাব করা হয়েছে। শীঘ্রই ঘোষণা হয়ে যাবে। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘তমলুকে কে প্রার্থী হবেন তা সবাই জেনে গিয়েছে’।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্রে (Tamluk Constituency) জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু-সহোদর দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেন তিনি। তবে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অধিকারী পরিবারের সঙ্গে জোড়াফুল শিবিরের দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন তমলুকের বিদায়ী সাংসদ তথা শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু।
আরও পড়ুনঃ কালীঘাটের ব্যাঙ্কেই আছে ১ কোটি! শ্রীরামপুরের TMC প্রার্থী কল্যাণের সম্পত্তির পরিমাণ জানলে ঢোক গিলবেন
চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে দলে যোগ দিলেও দিব্যেন্দুকে তমলুক কেন্দ্র থেকে দাঁড় করাচ্ছে না গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, কোনও পদ, দায়িত্ব ছাড়া চব্বিশের লোকসভা ভোটে কাঁথি এবং তমলুকে একজন বিজেপি কর্মী হিসেবে কাজ করতে চান দিব্যেন্দু। গেরুয়া শিবির তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ করবে বলে জানান বিরোধী দলনেতা।
পাশাপাশি তিনি নিজে কেন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না সেকথাও জানান শুভেন্দু। বিজেপি নেতার কথায়, ‘আমায় কাউকে বলতে হয়নি। আমার বাড়িতে দু’টো ‘সিট’ ছিল। তবে আমি প্রথমেই অমিত শাহ ও নাড্ডাজিকে বলেছিলাম, কর্মীরা যদি চায় তাহলে যে কোনও একটা সিটে আমার বাড়ির লোক লড়বে। দলীয়ভাবে কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় দু’জন পর্যবেক্ষক পাঠানো হয়। তাঁরা সমীক্ষা করে জানান, আমায় কিংবা সৌমেন্দুকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছেন’। এখানেই না থেমে শুভেন্দু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘প্রাক্তন’ করার শপথ নিয়ে লড়ছেন তিনি। সেই কারণে দিল্লি যেতে চান না। কর্মীরা চাওয়াতেই বিজেপি সৌমেন্দুকে টিকিট দিয়েছে বলে জানান শুভেন্দু।