বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার বুকে রীতিমতো ঝড় তুলেছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি। এরপর রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা-নেত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে এই শব্দবন্ধ। পশ্চিমবঙ্গে ‘খেলা হবে’র আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তার নেপথ্যে যিনি আছেন, তাঁর নাম দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। বঙ্গ রাজনীতির কার্যত উল্কার গতিতে উত্থান তাঁর। মাত্র ২৮ বছর বয়সেই পেয়েছেন লোকসভার টিকিট। তমলুকের মতো হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে তাঁকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল।
ষষ্ট দফায় ভোট রয়েছে তমলুকে (Tamluk)। এই মুহূর্তে প্রচার নিয়ে বেজায় ব্যস্ত দেবাংশু। তবে তার ফাঁকেই খানিক সময় বের করে নিলেন সাক্ষাৎকারের জন্য। রাজনীতি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন, একাধিক বিষয়ে খোলামেলা কথা বললেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী। জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে দেবাংশু জানালেন, কাকে দেখে রাজনীতিতে আসা? বিয়ে কবে করছেন? সহ একাধিক প্রশ্নের উত্তর।
ভোটের আবহে এখন সকালে উঠেই প্রথমে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন তমলুকের জোড়াফুল প্রার্থী। এরপর স্নান করে ছাতুর শরবত কিংবা মুড়ি-তরকারি খেয়ে ৭টার মধ্যে বেরিয়ে পড়ছেন প্রচারে। দেবাংশু জানান, বেরনোর আগে অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে নিচ্ছেন মোবাইল, টুপি এবং ওআরএস।
আরও পড়ুনঃ আদালতে আত্মসমর্পণের পরই জামিন লালার! কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার চার্জশিট দেবে CBI, জালে ‘বড় মাছ’?
রাজনীতির ময়দানে খুব বেশিদিন হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্ব এবং রাজ্যবাসীর নজর কেড়ে নিয়েছেন দেবাংশু। কাকে দেখে রাজনীতির আঙিনায় পদার্পণ? স্পষ্ট জবাব আসে, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে কোনও সংশয় নেই। ওনার লড়াই আমায় শক্তি জোগায়’। রাজনীতির দুনিয়ায় পা না রাখলে অন্য কোন পেশা বেছে নিতেন? জবাবে দেবাংশু বলেন, ‘ট্রেন চালানোর স্বপ্ন দেখতাম। পরে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করার কথা ভেবেছিলাম’।
কথার সূত্রে দেবাংশু জানান, পাহাড়ে ঘুরতে যেতে ভীষণ ভালোবাসেন তিনি। ভোট মিটলেই দার্জিলিং যাওয়ার পরিকল্পনা আছে তাঁর। কোন খাবার খেলে মন ভালো হয়ে যায়, সেটাও জানান তৃণমূল নেতা। দেবাংশু বলেন, মুরগির মাংসের যে কোনও পদ তাঁর খুব প্রিয়। তবে সেটা যদি মায়ের হাতের হয় তাহলে আর কোনও কথাই নেই!
প্রেমজীবন নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় তৃণমূলের এই যুব নেতাকে। প্রেম করেন কিনা জিজ্ঞেস করায় দেবাংশু বলেন, ‘না। এখনও মনের মতো কাউকে পাইনি। বা হয়তো অনেকেই মনের কথা বলে উঠতে পারেননি’। মনের মানুষের নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনও মাপকাঠি আছে কিনা জিজ্ঞেস করায় জোড়াফুল প্রার্থী বলেন, সেই মানুষটিকে অবশ্যই দিদির সমর্থক হতে হবে। নাহলে সারাদিন ঝগড়া-অশান্তি করে কাটাতে পারবেন না তিনি।
এ তো নাহয় গেল প্রেমের কথা। বিয়ে নিয়ে কী পরিকল্পনা আছে তৃণমূল নেতার? জবাবে দেবাংশু বলেন, ‘এখন আমার ২৮ বছর বয়স। ইচ্ছে আছে ৩০ বছরে বিয়ে করার। তবে এই দুই বছরের মধ্যে মনের মতো কাউকে যদি না পাই তাহলে সেই সময়টা পিছোতেও পারে’। লোকসভা নির্বাচনে যদি তমলুক কেন্দ্রে জয়ী হন, তাহলে সাংসদ হিসেবে প্রথম কোন কাজে জোর দেবেন দেবাংশু? স্পষ্ট উত্তর আসে, ‘নিজের কেন্দ্রে কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেব’।