গরু পাচার কাণ্ডে বহুদিন জেলবন্দি! এবার কী তাহলে কপাল পুড়ল কেষ্টর? বীরভূমে গোপনে যা চলছে…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলছে লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Vote)। পঞ্চায়েত ভোটের পর এই প্রথম লোকসভা ভোটও অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal)। নেই ‘চড়াম চড়াম’, নেই ‘কেউ গুড় বাতাসা’ থেকে ‘নকুলদানা’। সবকিছুই শান্ত, বড্ড বেমানান। যেই অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টর দৌলতে ‘ভয়ঙ্কর খেলা’ চলত আজ সেই চিত্র একেবারেই বদলে গিয়েছে। ভোটের বীরভূমে (Birbhum) এবার আর উত্তাপ চড়ছে না।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অনুব্রতহীন বীরভূমে এবারের ভোট তৃণমূলের কাছে কোনও পরীক্ষার চাইতে কম নয়। সকলকে ছেড়ে কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর এই প্রথম বড় নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চলেছে তৃণমূল। ঠিক কোন পন্থায় কেষ্টগড়ে ফের ফুটবে ঘাসফুল! অনুব্রতহীন বীরভূমে ভোট করাতে কী
স্ট্র্যাটেজি শাসকদলের?

২০১৯ সালে শেষ লোকসভা ভোটের সময় ফুল ফর্মে ছিলেন অনুব্রত। সেবার বীরভূম জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেই ফুটেছিল ঘাসফুল। খেলাও হয়েছিল সেবার। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট করিয়েছিলেন অনুব্রত। তবে এবার যে সেই বীরভূমের বাঘই খাঁচাবন্দি। বোলপুরের নিচুপট্টির নির্বাচনী কার্যালয়ও চুপচাপ। কেষ্টহীন বীরভূম আজ শুকনো মুড়ি! নেই গুড় বাতাসা। কেষ্টর অনুপস্থিতিতে তৃণমূলের কী হাল বীরভূমে? নতুন কেউ চলে এল তার জায়গায়? ভুলে গিয়েছে তাকে দল?

এলাকাবাসীর কথায়, নিচুপট্টির যে তৃণমূল কার্যালয় এবারে শুনশান। তিন চারজন পুলিশ কর্মী বাড়ি পাহারায় মাত্র। এখন আর এখানে কেউ আসে না। কেষ্টহীন ভোট প্রসঙ্গে, তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “এই বীরভূম জেলায় এখনও সাংগঠনিক দিক থেকে এক নম্বর ব্যক্তি অনুব্রত মণ্ডল।”

tmc leader anubrata mondal

আরও পড়ুন: তোলা না দেওয়ায় চুলের মুঠি ধরে টেনে রাস্তায় ফেলে মার! FIR নেয়নি পুলিশ, হাইকোর্টে মামলা অভিনেত্রীর

পাশাপাশি কেষ্টর দেখানো পথে, তার নিজের হাতে তৈরী করে দেওয়া সংগঠনকে কাজে লাগিয়েই এবারেও ভোট হবে।  প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । পরে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও। সেই সময় থেকে শ্রীঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটছে তার। বর্তমানে বাংলা পেরিয়ে তার ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড়। মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে সেখানেই রয়েছেন কেষ্ট।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর