বাংলাহান্ট ডেস্ক : জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহর সংলগ্ন পাতকাটা অঞ্চল রবিবার সাক্ষী থাকল এক অদ্ভুত ঘটনার। এই এলাকায় শুয়োরের পেট থেকে জন্ম নিল হস্তী শাবক। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই সেই শাবককে দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিরল এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এসে ভিট জমান ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের দশ নম্বর শ্রমিক মহল্লায়।
যদিও এই শাবকটি মৃত অবস্থায় ছিল। পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূল পঞ্চায়েত প্রধান অনিতা রাউতের স্বামী সুব্রত রাউত এই হস্তী শাবকটিকে দেখতে আসেন। তার কথায়, জীবনে এই প্রথম বার দেখলাম শুয়োরের পেটে হাতির বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। এমন ঘটনা আগে দেখিনি। শুয়োরের পেট থেকে এমন এক বাচ্চা জন্মেছে যার বড় বড় কান আছে, শুঁড় আছে।
জলপাইগুড়িতে এই ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় চা বাগান শ্রমিক চামরি মানকি মুন্ডার বাড়িতে। এই চা বাগান শ্রমিক গত তিন বছর ধরে শুয়োর প্রতিপালন করছেন। হস্তী শাবক জন্ম দেওয়া শুয়োরটি এই প্রথম বাচ্চা দিয়েছে। তবে চাঞ্চল্যকর ব্যাপার অনেকগুলি বাচ্চার মধ্যে একটি বাচ্চা হাতির মতো দেখতে। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসে ভিড় জমান মানকি মুন্ডার বাড়িতে।
এই ব্যাপারে চামরি বলেছেন, কাল রাত দশটার সময় জানতে পারি শুয়োরগুলো বাচ্চা দিচ্ছে। এরপর শুতে চলে যাই। আজ সকালে এসে দেখি মোট আটটা বাচ্চা দিয়েছে শুয়োরটা। তার মধ্যে একটি বাচ্চার শুঁড় ও বড় বড় কান রয়েছে। বাচ্চাটা হাতির মতো দেখতে। তবে এই বাচ্চাটা মারা গেছে। এর সাথে অন্য একটি বাচ্চাও মারা গেছে। এই ধরনের ঘটনা আমি জীবনে প্রথম দেখলাম।
স্থানীয় এক বাসিন্দা ভোম্বল রায়ের কথায়, এখানে আমি প্রতিদিন আসি। তবে আজ খবর পেলাম শুয়োরের পেট থেকে হাতির মতো দেখতে বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। এরপর এই বাচ্চা দেখার জন্য বহু মানুষ ভিড় করতে থাকে। আমি মৃত বাচ্চাটিকে একটি পরিষ্কার জায়গায় নিয়ে আসি। বহু মানুষ এসে দেখতে চাইছেন তাই। এরপর স্থানীয়রা ওই বাচ্চাটিকে কবর দিয়ে দিয়েছিল।