অনুব্রতর সঙ্গে হুবহু মিল, চেনেন এই ভাইরাল ব্যক্তিকে? পরিচয় জানলে অবাক হবেন!

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমৃল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখন দিল্লির তিহাড় জেলের বাসিন্দা। কিন্তু এদিকে ঘটে গেছে এক কাণ্ড। কেষ্টর রাজনৈতিক উত্থানের প্রসঙ্গ টেনে সম্প্রতি এক মৎস্য ব্যবসায়ীর ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মৎস্য ব্যবসায়ীর সেই ছবি পোস্ট করে নেটিজেনদের অনেকে দাবি করেন ছবিটিতে অনুব্রত মণ্ডলকে বাজারে মাছ বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু আদতে ছবিটি অনুব্রত মণ্ডলের নয়। ভাইরাল ছবিটিতে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল নন, বরং শেওড়াফুলি বাজারের এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে মাছ বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। কেষ্টর সঙ্গে চেহারায় মিল থাকা শেওড়াফুলির ওই মৎস্য ব্যবসায়ীর নাম সুকুমার হালদার। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তিনি মাছ বিক্রি করছেন ওই বাজারে। থাকেন শেওড়াফুলি নিমাইতীর্থ ঘাট এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে। অনুব্রতের সঙ্গে তাঁর মিলের কথা তুলতেই বিরক্ত হলেন সুকুমার। তিনি বললেন, ‘অনেক ক্রেতা আমাকে বলেন, সুকুমারদা, তোমাকে অনুব্রতের মতো দেখতে। এর পর এক দিন কেউ আমার ছবি পাশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভাইরাল করে দিয়েছে। কারা করেছে তা আমি জানি না।’

অনেক দিন আগে ডান পা ভেঙে গিয়েছিল সুকুমারের। এখনও তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ নন। পাশাপাশি, আরও নানা অসুস্থতা রয়েছে তাঁর। এই অবস্থাতেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। রোজ সকালে পা ছড়িয়ে বসে নিষ্ঠার সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। তাঁর ছবি ভাইরাল হয়ে ওঠার পিছনে যাঁরা তাঁদের শাস্তি চান সুকুমার। কিছুটা উদাস গলায় বললেন, ‘পুলিস প্রশাসন যদি তাদের শাস্তি না দিতে পারে, তা হলে স্বয়ং ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন। সে শাস্তি তোলা আছে।’

বিশেষ সূত্রে খবর, এককালে মৎস্য ব্যবসায়ী হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন বর্তমানের এই তৃণমূল নেতা। পরবর্তীকালে অনুব্রত পা রাখেন রাজনীতির আঙিনায়, একের পর এক ধাপ পেরিয়ে হয়ে ওঠেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি।

anubrata

প্রভাব-প্রতিপত্তির পাশাপাশি দুর্নীতির সাথেও নাম জড়ায় তার। সম্প্রতি গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রতকে ইডি গ্রেফতার করলে ভাইরাল ছবিটি পোস্ট করে কিভাবে তিনি মৎস্য ব্যবসায়ী থেকে দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনৈতিক নেতা হয়ে উঠলেন তার কাহিনী নিয়ে জল্পনা ছড়ায়।

ছবিটি পোস্ট করে একজন লেখেন, ‘বীরভূমের হাটশেরান্দি গ্রামের ছেলে অনুব্রত মণ্ডলের। সাধারণ পরিবার, আর্থিকভাবেও তেমন সচ্ছল ছিল না বলেই শোনা যায়। পরিচিতরা বলতে শোনা যায় , তিনি নাকি টাকা ধার করে চলতেন। বর্তমানে সিবিআই সূত্রে তাঁর সম্পত্তির হিসেব সামনে এসেছে ১০০০ কোটি টাকা। তা শুনলে এ সব অলিক বলেই মনে হবে। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা , প্রথম জীবনে মাছ বিক্রি করতেন তিনি। সেখান থেকে দোর্দণ্ডপ্রতাপ হেভিওয়েট নেতা ও এতো বিষয় সম্পত্তির হওয়ার পেছনে সবকিছুই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণা।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর