শহীদ দিবসে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে হাড়োয়ায় ঘরছাড়া বহু মানুষ! আটক ২১, মৃত ২

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার একদিকে তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গোটা ভারতে দলের ধ্বজ ওড়ানোর জন্য ভার্চুয়ালি ভাষণ দিচ্ছিলেন। আরেকদিকে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী একে অপরের উপর গুলি ছুঁড়ছিল। যার জেরে তৃণমূল কর্মী লক্ষ্মী সর্দার আর সন্ন্যাসী সর্দার প্রাণ হারান, এবং ডজন খানেক তৃণমূল কর্মী আহত হন। ঘণ্টার ২৪ ঘণ্টা কাটলেও হাড়োয়ার (Haroa) ট্যাংরামারি গ্রামে এখনও আতঙ্ক কাটেনি।

334466 3

এলাকার বহু মানুষ এখনও আতঙ্কে ঘরছাড়া। যারা বাড়িতে রয়েছেন, তাঁরাও তুমুল আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটিয়েছে। অনেকের বাড়িতে আবার উনুনও জ্বলেনি।

গতকাল শহীদ দিবসের দিনে পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে হাড়োয়ায়। মুড়িমুড়কির মতো গোলাগুলি চলে সেখানে। আর সেই গুলিতে প্রাণ হারান দুজন তৃণমূল কর্মী। এছাড়াও ১১ জন এই ঘটনায় আহত হন।

এই ঘটনা নিয়ে ৩১ জনের নামে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে হাড়োয়া থানায়। এদের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাঁদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ধৃত ২১ জনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ৫ জনকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজত আর ১৬ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

অভিযুক্তদের মধ্যে তৃণমূলের কিছু প্রভাবশালী নেতাদেরও নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি যজ্ঞেশ্বর প্রামাণিক এবং ট্যাংরামারি তৃণমূলে বুথ সভাপতি ভাস্কর রায়।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর