পড়াতে গিয়েই প্রেম, ছাত্রীকে পাত্রী বানিয়েছিলেন ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র!

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দিন দুয়েক আগেই অসাধ‍্য সাধন হয়েছে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এ। রচনা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন সস্ত্রীক মদন মিত্র (madan mitra)। রাজ‍্যের শাসক দলের বিধায়ক মদন মিত্রকে বহুবার বহু অনুষ্ঠানে দেখা গেলেও পাশে স্ত্রী অর্চনাকে কখনোই দেখা যায়নি। বরং দেখা মিলেছে অন‍্য সুন্দরীদের।

কিন্তু নিজের ঘরেই যখন রয়েছেন এমন সুন্দরী তখন আর অন‍্য কারোর প্রয়োজন কী? রচনার ডাককে তাই আর না করতে পারেননি কামারহাটির বিধায়ক। স্ত্রীকে নিয়ে তিনিও খেলতে চলে এসেছিলেন বাংলা টেলিভিশনের সবথেকে জনপ্রিয় গেম শোতে। আর প্রথম বার এসেই ফাঁস করলেন অর্চনার সঙ্গে তাঁর প্রেম কাহিনি।

IMG 20211223 213429
দীর্ঘ ৩০ বছরের দাম্পত‍্য জীবন মদন ও অর্চনার। অত বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন দুজনে। তাও আবার অভিনব উপায়ে। অর্চনা ছিলেন তাঁর ছাত্রী। ইংরেজি পড়াতে যেতেন তাঁকে। পড়ানোর ফাঁকেই প্রেম। ছাত্রীকেই শেষমেষ পাত্রী বানিয়ে নিয়েছিলেন মদন মিত্র। সাধে কি আর বাংলা রাজনীতির ‘কালারফুল বয়’!

অর্চনা এদিন তাঁদের ব‍্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানান দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে। বিধায়কের নাকি খুব রাগ। তুলনায় তিনি অনেকটাই শান্ত। তাই স্বামী রাগলে আর বেশি ঘাঁটান না তিনি। তবে রাগ পড়ে গেলে অবশ‍্য গান গেয়ে স্ত্রীর মান ভাঙান মদন মিত্র।

মদন-জায়াকে রচনা প্রশ্ন করেন, রোজ এত সুন্দরীদের দেখা যায় বিধায়কের পাশে। কিন্তু স্ত্রীকেই দেখা যায় না। কখনো ভয় হয় না তাঁর? অর্চনা দেবীর উত্তরেই প্রমাণ হয়ে গেল মদন মিত্রের যোগ‍্য স্ত্রীই তিনি। তাঁর ঝটিতি উত্তর, ‘ঘুড়িকে উড়তে দেওয়া উচিত সবসময়। লাটাই তো আমার হাতে’। স্ত্রীর উত্তর শুনেই মদনের প্রশংসা, ‘ও লাভলি!’

মদন মিত্রের সঙ্গে প্রতিযোগী হয়ে এসেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়ও। মাস কয়েক আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন তিনি। সঙ্গে রচনা শর্মাও। মজা করে জানালেন, রচনার রূপে মুগ্ধ হয়ে রচনা নামের মেয়েকেই খুঁজে খুঁজে বিয়ে করেছেন। এছাড়াও ছিলেন রাঘব চট্টোপাধ‍্যায় ও শিবাজি চট্টোপাধ‍্যায় এবং তাঁদের স্ত্রীরা।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর