বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার ফাঁস হল মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। বাংলার পর আজ ইংরেজির প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠল। আজ ছিল মাধ্যমিকের ইংরেজি ভাষার পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ল মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। এবার যে প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়েছে পর্ষদের নতুন ব্যবস্থা অর্থাৎ ‘কিউআর কোড’গুলিকে দেখা যাচ্ছে লাল কালি দিয়ে কাটা অবস্থায়।
শুক্রবার মাধ্যমিকের বাংলার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর পর্ষদ অভিযুক্তদের শনাক্ত করে ‘কিউআর কোড’-এর মাধ্যমেই। ইংরেজি প্রশ্নপত্রে ‘কিউআর কোড’ কাটা থাকায়, এখন প্রশ্ন উঠছে কীভাবে শনাক্ত করা যাবে অভিযুক্তদের? জানা যাচ্ছে, ইংরেজি পরীক্ষায় উত্তর লেখার জন্য আলাদা করে দেওয়া হয়না খাতা।
আরোও পড়ুন : নামজ পড়তে জ্ঞনাবাপীতে হাজার হাজার মুসলিম! ঢুকতেই দিল না পুলিশ, ডাকা হল বনধ্
পরীক্ষার্থীদের উত্তর লিখতে হয় প্রশ্নপত্রের মধ্যেই। আজ পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১ ঘন্টা পর সমাজমধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ইংরেজি প্রশ্নপত্রের একটি পাতা। পরীক্ষা শেষ হওয়ায় পর পরীক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে জানা যায় যে, ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের সাথে সম্পূর্ণ মিল রয়েছে তাদের প্রশ্নপত্রের।
আরোও পড়ুন : সিনেমা ছেড়ে রাজনীতিতে! অভিনয় শেষের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন থালাপতি বিজয়
বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত পর্ষদ সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, গতকাল থেকে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় বাংলার প্রশ্নপত্র। এই খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় শিক্ষামহলে।
যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রশ্নপত্রে থাকা কিউআর কোডের সাহায্য নিয়ে দুই অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। মালদা জেলার রায়গ্রাম হাইস্কুল ইংরেজ বাজার ৩ এবং বেদদ্রাবাদ হাইস্কুল লক্ষ্মীপুর ৬ থেকে এই দুইজন পরীক্ষা দিচ্ছিল। তারাই মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে ভাইরাল করে দেয়। পর্ষদ ওই দুই ছাত্রের পরীক্ষা এই বছরের জন্য বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।