বাংলা হান্ট ডেস্ক: পড়াশোনা হল একটি সাধনার মত বিষয়। যে সাধনক্ষেত্রে গভীর নিষ্ঠা এবং মনোযোগ সহকারে পড়ুয়ারা সম্পন্ন করে তাদের পড়াশোনা। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এভাবেই তারা হাসিল করে সাফল্য। যদিও, সকলের কাছেই যে বিষয়টি অত্যন্ত সহজ তা কিন্তু নয়। বরং ভাগ্যের কঠোর পরিহাসে পড়াশোনা করাটাই অনেকের কাছে চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এমতাবস্থায়, মনে সাহস অবলম্বন করে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে নিয়ে কিছুজনের সাফল্য কার্যত গর্বিত করে সবাইকে। ঠিক যেমন ঘটেছে গড্ডা গণপতি আদর্শ বিদ্যাপীঠের ছাত্র মহ: আলম রহমানের সাথে।
সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে জীবনের প্রথম পরীক্ষা অর্থাৎ মাধ্যমিকে দুর্দান্ত রেজাল্ট করেছে সে। ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও সে এই পরীক্ষায় অর্জন করেছে ৮৯ শতাংশ নম্বর। মূলত, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হল ৬২৫। এমতাবস্থায়, আলমের এই বিরাট কৃতিত্বে আনন্দিত হয়েছেন সকলেই। শুধু তাই নয়, পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও তার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন।
শারীরিকভাবে আলম আর পাঁচজন পড়ুয়ার মতো সক্ষম নয়। এমনকি নিজের হাতে লিখতেও পারেনা সে। যদিও কোনো কিছুকেই নিজের “অজুহাত” হিসেবে মেনে নেয়নি আলম। তাই তো নিজের পা দিয়েই লিখে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে সে। যা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে তার রেজাল্টে।
আলমের প্রাপ্ত রেজাল্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, সে বাংলায় পেয়েছে ৯১। পাশাপাশি, ইংরেজিতে ৮৬, অঙ্কে ৯৮, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৪, জীবন বিজ্ঞানে ৭৭, ইতিহাসে ৮৪ এবং ভূগোলে ৯৫ পেয়েছে আলম। এদিকে, আলমের এই দুর্ধর্ষ রেজাল্ট সম্পর্কিত একটি পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে তার রেজাল্ট এবং আলমের ছবিও। আর এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সকলেই এই লড়াকু ছাত্রকে শুভকামনা, ভালবাসা এবং আশীর্বাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তার পরবর্তী জীবনের জন্যও তাকে অফুরান শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।