বাংলাহান্ট ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরে যে জল্পনা চলছিল সেটাই অবশেষে সত্যি হল। শেষ হয়ে যাচ্ছে জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ (Mahapith Tarapith)। গত তিন বছর ধরে চলছিল স্টার জলসার এই সিরিয়াল। কিছুদিন আগেই তিন বছরে পা রেখেছিল সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury) ও নবনীতা দাস অভিনীত মহাপীঠ তারাপীঠ। বদলে গিয়েছিল টাইম স্লটও। আর এবার শেষও করে দেওয়া হচ্ছে সিরিয়ালটিকে।
শেষ দিনের শুটিং হয়ে গিয়েছে গত মঙ্গলবার। গত তিন বছর ধরে বামাক্ষ্যাপার চরিত্রটিতে দর্শকদের মন জয় করে এসেছিলেন সব্যসাচী। এবার তাঁর বিদায় নেওয়ার পালা। শেষদিনে নানান স্মৃতিতে মন ভারাক্রান্ত অভিনেতার। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের লেখনীর মাধ্যমেই মনের কষ্ট উজাড় করে দিয়েছেন সব্যসাচী।
সুলেখক হিসাবে বেশ জনপ্রিয়তা আছে সব্যসাচীর। কিন্তু সিরিয়ালের শেষ দিনে লিখতে বসে বারবার আটকাচ্ছে তাঁর কলম। অভিনেতার ভাষায়, ‘অন্যদিন লিখতে বসলেই লেখাটা চিউইং গামের মতন লম্বা হতেই থাকে। আর আজ আমি যাই লিখছি তাতেই ব্যাকস্পেস টিপছি। শব্দভাণ্ডারে যেন ছাতা পড়েছে, নিজেকে বড় অশিক্ষিত বোধ হচ্ছে।’
দীর্ঘ তিন বছর। সময়টা বড় কম না। এতদিন ধরে কাজ করে করে সহ অভিনেতা অভিনেত্রীরা একটা পরিবারের মতো হয়ে উঠেছিল সকলের। সব্যসাচী আগেই জানিয়েছিলেন, যেহেতু তারাপীঠ মন্দিরের আদলেই তৈরি হয়েছে সেটটি তাই সকলেই খুব ভক্তিভরে কাজ করেন এখানে। শেষদিনে প্রিয় সেট থেকে অনেকেই টুকিটাকি জিনিস নিয়ে গিয়েছেন বাড়ি, স্মৃতি হিসাবে।
সব্যসাচী লেখেন, ‘এই তিন বছর ধরে আমি একটা কালো রঙের ভাঙ্গা কাপে চা খেতাম, আমাদের যিনি চা দিতেন সেই পিন্টুদা আমার ভাঙ্গা কাপটা সযত্নে নিজের বাড়ি নিয়ে গেছেন। সহপরিচালক বিপাশা আমার হাতের রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে গেছে ঠাকুরের সামনে রাখবে বলে। কেউ মায়ের ফুল নিয়ে গেছে আর কেউ বা মন্দিরের প্রদীপ।’
আর তিনি কী নিলেন? এত বছর ধরে বামাক্ষ্যাপাই হয়ে উঠেছিল সব্যসাচীর পরিচয়। তাই দীর্ঘদিনের সঙ্গী রক্তবস্ত্র এবং ত্রিশূল নিয়ে এসেছেন তিনি সেট থেকে। আর অবশ্যই ‘বড়মা’ অর্থাৎ মা তারার একটি ছবি। সব্যসাচী লিখেছেন, ‘আমার বেলুড়ের বাড়ির ছোট্ট ঠাকুর ঘরে আমার পাম্মার জিম্মায় ওরা থাকবে। তাদের যথাযথ মর্যাদা পাম্মার কাছেই পাবে বলে আমার ধারণা। কারণ কাল থেকে আমি শুধুই সব্যসাচী। বিদায় তারাপীঠ।’