বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাবমেরিন চুক্তি স্থগিত করার পর থাইল্যান্ড সরকার (Thailand) চীনকে আরও একটি বড়সর ঝটকা দিলো। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘ক্রা ক্যানাল প্রোজেক্ট” (Kra Canal project) বন্ধ করতে চলেছে থাইল্যান্ড (Thailand)। জানিয়ে দিই, বেজিং যেকোন মূল্যে এই প্রোজেক্টকে সম্পূর্ণ করতে চাইছে, কারণ এই প্রোজেক্ট সম্পূর্ণ হলে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত পৌঁছাতে ব্যাপক সুবিধা হবে চীনের।
এর আগে থাইল্যান্ডের জনতার বিরোধের কারণে চীনের সাথে সাবমেরিক চুক্তি স্থগিত করেছিল থাই সরকার। চীন দীর্ঘ দিন ধরে এই ক্রা ক্যানাল প্রোজেক্ট সম্পূর্ণ করার আশায় বসে আছে। প্রায় ১০২ কিমি দীর্ঘ এই ক্যানাল অস্তিত্বে আসার পর চীন দক্ষিণ চীন সাগর আর ভারত মহাসাগরে নিজেদের আস্তানায় সহজে পৌঁছাতে পারার জন্য এই প্রোজেক্টকে সম্পন্ন করার চেষ্টায় ছিল। চীনকে আপাতত নিজেদের আস্তানায় পৌঁছাতে ১ হাজার ১০০ কিমি দূরত্ব নির্ধারণ করতে হয়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে চীন নিজেদের অনেক আকাঙ্খাকে পূরণ করতে চায়। তাঁদের আশা ছিল স্টেট অফ মলক্কাকে বাইপাস করে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের আধিপিত্য বিস্তার করা, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কেউ যাতে তাঁদের আর চ্যালেঞ্জ জানাতে না পারে, সেটার বন্দোবস্ত করছিল বেজিং। কিন্তু তাঁদের আসায় জল ঢেলে দিলো থাই সরকার।
প্রথমের দিকে থাই সরকার এই প্রোজেক্টকে গুরুত্বপূর্ণ প্রোজেক্ট বলেই আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু এখন তাঁদের মতে এই প্রোজেক্টে তাঁদের বিশেষ একটা লাভ হবে না, তাই তাঁরা এই প্রোজেক্টকে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে না। এর আগে আর্থিক অবস্থার অজুহাতে চীনের সাথে সাবমেরিন চুক্তি স্থগিত করেছিল থাই সরকার। চীনের সাথে করা এই চুক্তি বাতিল করার জন্য থাইল্যান্ডের বিরোধী পার্টি এবং থাই জনতা সরকারের উঠেপড়ে লেগেছিল। চুক্তি বাতিল করার দাবি নিয়ে জনতা রাস্তায়ও নেমেছিল। এরপর সরকার চাপে পড়ে চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয়। আর এবার আরও একটি চুক্তি বাতিলে মাথায় হাত পড়ল চীনের।