বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে দেশ বিদেশের রাজ্য রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep) ছবি পোস্ট করতেই বেঁকে বসেন মালদ্বীপের (Maldives) মন্ত্রীসভার একাংশ। ভারত এবং মোদী বিরোধী মন্তব্যে ভরে উঠতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা। এই আবহে গণহারে মালদ্বীপ বয়কট করতে শুরু করে ভারতীয় নাগরিকরা। আর এই আবহে ফের এক ঝটকা খেল মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) সরকার।
মালদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় নির্বাচনে গো হারান হেরে গেল প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর পিপল্স ন্যাশানাল কংগ্রেস (PNC)।গত শনিবার রাজধানী মালের স্থানীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে ‘ভারতপন্থী’ মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (MDP) নেতা। মালের মেয়র পদে বহাল হয়েছেন অ্যাডাম আজিম। উল্লেখ্য, এর আগে এই পদে দীর্ঘদিন বহাল ছিলেন মুইজ্জু স্বয়ং।
গত বছরই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদে প্রার্থী হওয়ার সময়ই ওই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু। আর এবার সেই মেয়র পদে বহাল হলেন মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (MDP) নেতা অ্যাডাম। এই দলের প্রধান হলেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি। তাকে হারিয়েই প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন মহম্মদ মুইজ্জু। তবে এই ঘটনা যে, মুইজ্জুর জন্য বড় ঝটকা সেকথা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দ্বীপরাষ্ট্রের এই নির্বাচনে অ্যাডামের বিপরীতে প্রতিযোগিতা করছিলেন আইশাঠ আজ়িমা। প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। যা মুইজ্জু সরকারের জন্য একটা বড় ধাক্কা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত-মালদ্বীপ এই বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর থেকেই। প্রধানমন্ত্রী লাক্ষাদ্বীপ প্রোমোট করতেই বেঁকে বসে মুইজ্জুর মন্ত্রীসভার ৩ মন্ত্রী।
আসলে মুইজ্জু আসনে বসেইছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতি নিয়ে। তাই লাক্ষাদ্বীপ যে কেবল ছুতো মাত্র সেকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে কূটনীতিকদের দাবি, এই গোটা ঘটনার পেছনে রয়েছে বেজিং-র উস্কানি। মূলত চিনা সরকারের মদতেই এই কাজ হচ্ছে বলে খবর। পাঁচ দিনের চীনা সফর থেকে ফিরে ফের একবার ভারতকে তোপ দেগেছেন মুইজ্জু। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুইজ্জু বলেন, “হতে পারি আমরা ক্ষুদ্র। কিন্তু তাই বলে কাউকে চমকানোর ছাড়পত্র দিয়ে দিইনি আমরা।”