বাংলাহান্ট ডেস্ক : সেনাবাহিনীতে অগ্নিবীর নিয়োগ নিয়ে উত্তপ্ত রাষ্ট্র। হিংসাত্মক বিক্ষোভে জেরবার কেন্দ্র। তারই মাঝে এই বিষয় নিয়ে সোমবার এই প্রথম মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার বাদল অধিবেশন চলাকালীন আজ ভাষণে মমতা বলেন, ‘অগ্নিপথ করে বিজেপি ক্যাডার তৈরির চেষ্টা করছে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অগ্নিপথ প্রকল্প তৈরির মাধ্যমে বিজেপি গুন্ডাবাহিনী তৈরি করতে চাইছে।
মুখ্যমন্ত্রী যখন বিধানসভায় এই মন্তব্য করছেন তখনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়েলে নেমে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এরপর বিরোধী পক্ষ কক্ষ ত্যাগ করে অধিবেশন ছেড়ে বেড়িয়ে যায়।
জানা যাচ্ছে, চলতি বাদল অধিবেশনে আজই প্রথম বিধাসভায় উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে গতকাল নির্বাসন ওঠার পর শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির সাত বিধায়কও আজই প্রথম অধিবেশনে যোগ দেন। অগ্নিপথ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে ব্যাপক গোলমাল করেন বিজেপির বিধায়করা।
অগ্নিপথে যাঁদের নিয়োগ করা হবে চার বছর পর অবসর নিয়ে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এঁদের তো বন্দুক চালানোর লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চার বছর চাকরী করার পর অবসর নিয়ে তারা যে কোনও সমাজ বিরোধী কাজে জড়াবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
গতকাল সংবাদ মাধ্যমের করা প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় একটি মন্তব্য করেন যা তোলাপাড় শুরু হয়ে যায় দেশ জুড়ে।। ত্রিপুরায় কেন্দ্রীয় বিজেপির এই নেতা বলেন অগ্নিবীররা চার বছর পর বিজেপির পার্টি অফিসগুলিতে দারোয়ান কাজে যোগ দেবেন। তখনই এই প্রশ্ন উঠে যায়, অগ্নিপথ কি তাহলে বিজেপির ক্যাডার তৈরির নতুন পদ্ধতি? এদিন সেই প্রশ্নই আরও একবার তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।