কবে থেকে শুরু কর্মসূচি? ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ নিয়ে জারি হল নির্দেশিকা

Published on:

Published on:

Mamata Banerjee announced the program of the 'Amader Para, Amader Samadhan' project

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২১ জুলাইয়ের তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বড় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেদিন তিনি জানিয়ে দেন যে, রাজ্যজুড়ে চালু হতে চলেছে একটি নতুন সরকারি কর্মসূচি, যার নাম ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ (Amader Para Amader Samadhan)। এবার সেই কর্মসূচি নিয়ে সরকারি স্তরে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন (Nabanna)।

‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য কি?

মূলত, রাজ্যের প্রতিটি বুথ স্তরে গিয়ে মানুষ কী ধরনের সমস্যায় পড়ছেন, তা সরাসরি শোনাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ঘোষণায় বলা হয়েছে, তিনটি বুথকে একটি ‘পাড়া’ হিসাবে ধরে চলবে কাজ। প্রতিটি বুথের জন্য রাজ্য সরকার ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করছে। সেই অর্থেই এলাকাভিত্তিক ছোটখাটো সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে, যেমন রাস্তা নির্মাণ, পানীয় জল, সেতু মেরামতি, স্কুল সংস্কার ইত্যাদি।

মোট ৮০ হাজার বুথ ধরে রাজ্যজুড়ে এই কর্মসূচির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ হাজার কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে নজরদারির জন্য একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

নবান্নের (Nabanna) তরফে সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই কর্মসূচি শুরু হবে ২ অগস্ট থেকে এবং চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতি রবিবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদ দিয়ে প্রতিটি বুথেই ক্যাম্প বসবে। ক্যাম্পে আসা সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি শুনে সেগুলির যাচাই-বাছাই করা হবে এবং সেই অনুযায়ী দ্রুত সমাধানের পথে হাঁটবে সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সমস্যাগুলি বিশ্লেষণ করে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। তার পর ১৫ জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করবে প্রশাসন। নবান্নের আশা, সারা রাজ্যজুড়ে প্রায় ২৭ হাজার ক্যাম্প আয়োজন করতে পারবে সরকার (West Bengal Government)।

Mamata Banerjee announced the program of the 'Amader Para, Amader Samadhan' project

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার চেয়েও পিছিয়ে! বিশ্বের সেরা ১০ নিরাপদ দেশের তালিকায় কত নম্বরে ভারত?

সোজা কথায়, মাটির কাছাকাছি গিয়ে মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আরও কার্যকর ও মানবিক প্রশাসন গঠনে সক্ষম হবে রাজ্য বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।