বাংলাহান্ট ডেস্ক : লোকসভা ভোটের আগেই কার্যকর হয়ে গেল সিএএ। বড় ঘোষণা করল কেন্দ্র। সিএএ নিয়ে জারি করল বিজ্ঞপ্তি। এই আবহে নবান্নে জরুরী বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলের হাতে মোয়া। জাস্ট লালিপপ। কোনও বৈষম্য হলে মানব না।’
পাশাপাশি তার কথায়, ‘যদি একটা ক্যা করে বলেন আপনি নাগরিক তাহলে কি নাগরিক ছিলেন না এতদিন। কেন তাদের আধার কার্ড বাতিল করছিল? আমাদের থিওরি হল সবাই নাগরিক।’ এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা সহ উত্তর পূর্বে এটা কিন্তু খুব সেনসেটিভ। নতুন করে অশান্তি হোক এটা চাই না।’
আরোও পড়ুন : ভোটের আগেই ফের বড় অ্যাকাশন! এবার তৃণমূলের বিপুল টাকা বাজেয়াপ্ত করল ED
মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘পায়ে পা লাগিয়ে কিছু করা হলে এটা মানব না। রমজানের অভিনন্দন। কিন্তু এই দিনেই কেন করতে হল? সবাইকে শুভনন্দন। ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। কারোর অধিকার কেড়ে নিলে তৃণমূল আওয়াজ তুলবে। তার সূচনাটা বলে দিলাম। মধ্য়গগনে কী ফুল ফুটবে তা তো জানি না। সাহস থাকলে ৬ মাসে আগে দিতেন।’
আরোও পড়ুন : ঐতিহাসিক পদক্ষেপ! দেশজুড়ে কার্যকর হল CAA, বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্র সরকার
একই তিনি জানতে চান , ‘হঠাৎ ভোটের আগে এসব করতে হল কেন? ছলনা সবসময় ছলনা। দেশের খারাপ হলে সেটা সমর্থন করি না।’ হুংকারের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ নির্বাচনের আগে কেন CAA কার্যকরের চেষ্টা ? CAA আইন পাশের পরে বারবার এক্সটেনশন করে আজকে চারবছর লেগে গেল। নির্বাচনের মুখেই এটা করার প্রয়োজন পড়ল তার কারণ, এটা একটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা। ‘
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, ‘যে নিয়মটা করা হয়েছে, সেখানে কী বলা হয়েছে। এটা ভোটের আগে মানুষের সঙ্গে ছলনার চেষ্টা, কোনও বৈষম্য মানব না। যদি সিএএ নিয়ে নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, তাহলে তীব্র প্রতিবাদ করা হবে। সিএএ-র নাম করে ডিটেনশন ক্যাম্প রেখে দেবে, তা হবে না। এটা ছলনা। যারা বাংলায় বসবাস করেন, দেশে বসবাস করেন তাঁরা প্রত্যেকে নাগরিক। সিএএ রাজ্যে লাগু হতে দেব না।’