বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার থেকে বৃহস্পতিবার, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় আন্দোলন এখনও চলছে। জুনিয়র চিকিৎসক এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের কর্মবিরতি অব্যাহত। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বেহালার এক অনুষ্ঠান থেকে আন্দোলনকারীদের প্রতি নৈতিক সমর্থক জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘সিনিয়র চিকিৎসকরা পরিষেবা দিচ্ছেন, আমি কৃতজ্ঞ। তবে ৩ জন বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন। পায়ে ধরে বলছি বাকিরাও এবার কাজে যোগ দিন’।
‘আন্দোলনেরও একটা সীমা থাকা উচিত’: মমতা (Mamata Banerjee)
ইতিমধ্যেই আরজি করে ধর্ষণ-খুনের এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গেই আন্দোলনকারীদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেকথা মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘আন্দোলনেরও একটা সীমা থাকা উচিত। সেটা নজরে রাখতে হয়। আন্দোলন করেই আমি বড় হয়েছি। আদালত কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছে’। মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, চিকিৎসা, হাসপাতাল এসব জরুরি পরিষেবার অন্তর্গত। পেশায় প্রবেশের সময় প্রত্যেক চিকিৎসক সেই বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ টানা ছুটি অতীত! রাজ্য সরকারের কড়া বিজ্ঞপ্তি, রাতের ঘুম উড়ল সরকারি কর্মীদের!
বুধবার মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব (RG Kar Incident) চালায় একদল দুষ্কৃতী। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতাল। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই পড়ুয়াদের তারিফ করে বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীরা ভালো। ওদের আমি সমর্থন করি। আমার ওদের ওপর কোনও রাগ নেই। তবে আমার রাগ হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো এর মধ্যে ঢুকে ঘোলা জলে মাছ ধরছে!’
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের জেরে জুনিয়র চিকিৎসক এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলনের কারণে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত বিপর্যয়ের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় তাঁদের এই আন্দোলনকে ন্যায্য বললেও চিকিৎসা পরিষেবা ফের স্বাভাবিক করার আরজি জানিয়েছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই প্রসঙ্গ শোনা যায়। মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘আমি এবং স্বাস্থ্যসচিব বারবার অনুরোধ করছি। গরিব মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। ভীষণ কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের কথা ভেবে কাজে যোগ দেওয়া উচিত’।