বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় বকেয়ার দাবিতে শুক্রবার থেকে রেড রোডে অম্বেডকর মূর্তির সামনে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখান থেকেই কখনও কেন্দ্র সরকার, কখনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি কখন কংগ্রেস আবার কখনও বা সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাথেই গতকাল ধর্না থেকে ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে ফের মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের বছরে ৪ শতাংশ করে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়। আলাদা করে পঞ্চম বেতন কমিশন তৈরি করেছি। সেই টাকাও পাচ্ছে। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যেখানে স্বাস্থ্য স্কিমে সরকারি কর্মচারীরা ফ্রি-তে চিকিৎসা পায়, সরকারি কর্মচারীরা পেনশন পায়। সারা জীবন পাবেন। সেটা নিয়ে তো বলে না।’
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাল্টা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘আমাদের কাছে সব পরিসংখ্যান রাখা আছে, দরকারে ওনাকে গিয়ে দিয়ে আসব। ভারতের অন্তত ১৫টা রাজ্য ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ দেয়। আর পশ্চিমবঙ্গেই মাত্র ১০ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুললেই শুধুমাত্র মিথ্যাচার।”
প্রসঙ্গত সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা ডিএ বৃদ্ধি করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মচারীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ (DA) ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকেই বর্ধিতহারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা। আগে ৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সম্প্রীতি ৪ শতাংশ বেড়ে তার পরিমাণ হয়েছে ১০ শতাংশ। যার সুবিধা পাবেন রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী।
আরও পড়ুন: ভারতরত্ন পাচ্ছেন বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, টুইট করে জানালেন প্রধানমন্ত্রী
ওদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় খুশি হননি সরকারি কর্মীদের অধিকাংশ। বহুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা। বর্তমানে ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন কেন্দ্রের কর্মচারীরা। নতুন বছরের শুরুর দিকে ফের তা বৃদ্ধি পেলে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ভাতার পরিমাণ ৫০% ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪% ঘোষণার পরেও রীতিমতো অসন্তোষের সুর রাজ্য সরকারি কর্মীদের কণ্ঠে। লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।