বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১১ সালে বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘চপ শিল্প’-র ভবিষ্যৎ নিয়ে একাধিক সময় মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। চপ বিক্রি করার কত সুযোগ সুবিধা রয়েছে, সে প্রসঙ্গে একাধিকবার মন্তব্য প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ঝাড়গ্রামে (Jhargram) পৌঁছে গিয়েও হল না তার অন্যথা! এদিন মুখ্যমন্ত্রীর চপ বিক্রি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন খোদ বুদ্ধদেববাবুও।
এদিন বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে ঝাড়গ্রামে বেলপাহাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে শিলদার নিকট মাগুরিয়া গ্রামে একটি রাস্তার পাশে হটাৎই দাঁড়িয়ে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি।
উক্ত স্থানে একটি চা ও চপের ছোট্ট দোকান দেখে গাড়ি থেকে নেমে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরবর্তীতে দোকানের চপগুলি নিয়ে সকলের হাতে তুলে দিতে থাকেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কর্মকাণ্ডে মুহূর্তের মধ্যেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীকে এত সামনে থেকে দেখে অবাক হয়ে যান দোকানের মালিক বুদ্ধদেব মহান্তি। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে দোকানের ভিতর রাখা চপ এবং আলু ভাজা সকলের হাতে তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এক্ষেত্রে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর ধারেকাছে যেতে পারেনি স্থানীয় বসিন্দারা।
পরবর্তীতে বুদ্ধদেববাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভা থাকলে সেখানে যাই। তবে আজ পর্যন্ত তাঁকে এত সামনে থেকে কোনদিন দেখিনি। তাই আজ আমার খুব ভালো লাগছে।” উল্লেখ্য, মাগুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বুদ্ধদেব মহান্তির দোকানে এদিন মোট ১০০টি চপ বিক্রি করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার টাকার চপ, আলু ভাজা এবং কয়েকটি চকলেট বিক্রি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি দোকানের মালিক।