বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিল্লীর (Delhi) ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দিল্লীবাসির জন্য পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুবনেশ্বর (Bhubaneswar) যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে যান তিনি। এবং বুধবার জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেন। তাঁর এই পুজো দেওয়াকে কটাক্ষ করে সিপিএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, ‘জগন্নাথ দেবকে পুজো দিতে নয়, অমিত শাহকে পুজো দিতে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’
এখানেই শেষ নয়, সিপিএমের থেকে প্রশ্নের বান ছুটে আসতে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে, প্রধানমন্ত্রী ডাকলে তিনি যেতে পারেন না, কিন্তু অমিত শাহ ডাকতেই তিনি চলে গেলেন। তৃণমূল (TMC)- বিজেপির (BJP) নিশ্চই ভেতরে ভেতরে যোগসাজশ আছে। নাহলে কলকাতায় (Kolkata) সভা করার অনুমতি কিভাবে পান অমিত শাহ। কলকাতার গেরুয়া শিবিরকে আরও সংঘবদ্ধ করতে রবিবার কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। শহিদ মিনারে আয়োজিত এই সভায় বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি সদস্যরা এসে উপস্থিত হবে। পুলিশ এই সভা করার অনুমতি ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে।
শহরে অমিত শাহের সভা হওয়ার আগেই ভুবনেশ্বরে মুখ্যমন্ত্রীর গমনে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ রয়েছে প্রচার করে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চাইছে সিপিএম। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার ভুবনেশ্বরে পূর্বভারতের রাজ্যগুলির বৈঠক। এই বৈঠকে যোগ দেবার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় সেখানে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে অংশ নেবেন অমিত শাহ।
অমিত শাহের ডাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুবনেশ্বর যাওয়ার প্রসঙ্গে সুজন বাবু বলেন,’ শহরে অমিত শাহের সভার কে অনুমতি দিল? কলকাতা পুলিশকে সামনে রেখে, নিজেদের গোপনে রাখতে চাইছে সরকার। প্রভু জগন্নাথ নয়, জগন্নাথ দেবকে পুজো দিতে নয়, অমিত শাহকে পুজো দিতে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ তিনি আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) কলকাতায় যেভাবে SFI এর পক্ষ থেকে কালো পতাকা দেখিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছিল, ঠিক সেইভাবে অমিত শাহকেও স্বাগত জানানো হবে SFI এর তরফ থেকে।